×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৭-২২
  • ১১৭৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার শহরের সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মাঝিসহ জীবিত উদ্ধার হয়েছে ২ জন। আরাে নিখোঁজ রয়েছে ৮ জেলে।

আজ বুধবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি ফখরুল করিম জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভাঙাচোরা একটি মাছ ধরার ট্রলার ভেসে আসার খবর পাওয়া যায়। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে প্রথমে ট্রলারটির আশপাশে চারটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় এবং পরে সকাল ৮টার দিকে আরও দু’টি মরদেহ ট্রলারের পাটাতনের ওপর পাওয়া যায়। এর দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে লাবনী পয়েন্টে আরো একটি মরদেহ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, সকাল ৬টার দিকে সৈকতের ডায়বেটিস হাসপাতাল পয়েন্ট থেকে একজন ও নাজিরার টেক থেকে একজন জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে লাইফ গার্ডের উদ্ধার কর্মী ও এলাকাবাসী।

লাইফ গার্ডের উদ্ধার কর্মী রশিদ আহমদ জানান, লাবনী পয়েন্টের তীরবর্তী সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা হয়। তখন সে বেঁচে ছিল, জ্ঞান ছিল তার। একইভাবে এলাকাবাসী নাজিরার টেক থেকে একজন উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সমুদ্রের সাথে লড়াই করে বেঁচে যাওয়া ভাগ্যবান দুই জন হচ্ছেন মুগুল সর্দারের ছেলে মনির মাঝি এবং ওয়াজ উদ্দিন ফিটারের ছেলে মো. জুয়েল। তাদের দুই জনই হচ্ছেন ভোলার চরফেশনের পূর্ব মাদ্রাজ পাড়ার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মনির মাঝি হচ্ছেন এই ট্রলারের মাঝি আর মো. জুয়েল হচ্ছেন ট্রলারের মালিকের ছেলে।

তারা জানান, গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোলা চরফেশনের শামরাজ ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে পাড়ি দেয়। তারা মোট ১৭ জন এই ট্রলারে ছিলেন। গত ৬ জুলাই (শনিবার) ভোরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এরপর কে কোথায় হারিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। এ সময় মনির মাঝি ও মো. জুয়েল ট্রলার ধরে রাখেন। সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় একবার ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে, আবার ধরে। এভাবে তারা তিনদিন ট্রলার ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন। পরে উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলার থেকে ছিটকে দূরে চলে যায় দুইজন। এরপর তারা সাগরে ভেসে থাকার চেষ্টা করে। এক সময় সাগরের তীরের পৌঁছলে কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে এসে তাদের ৭ জন জেলের মৃতদেহ পাওয়ার খবর পাই। তারা জানান, ট্রলারে ফয়জুল্লাহ, জিয়াদ, সেলিম মিস্ত্রি, বেলায়েত, তৌসিফ, জাহাঙ্গীর, মাসুদ, ওলিউল্লাহসহ তারা ১৭ জন ছিলেন।

কক্সবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খাইরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে এসব লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম মাহফুজুর রহমান সদর হাসপাতালে জীবিত উদ্ধার হওয়া দুই জেলেকে দেখতে যান। তিনি জানান, তাদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর যারা এখনো নিখোঁজ রয়েছে তাদের সন্ধান করা হচ্ছে। মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat