দেশে বেকারত্ব হ্রাস ও যুবকদের স্বউপার্জনশীল করে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন আজ বাসসকে বলেন, ‘আমরা যুবকদের স্বউপার্জনশীল করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী প্রকল্প গ্রহণ করার পাশাপাশি তাদেরকে চাকরিতেও নিয়োগ করছি।’
তিনি আরো বলেন, সরকার যুবকদের দক্ষ ও স্বউপার্জনশীল করে গড়ে তুলতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন উপার্জনশীল ব্যবসায় উদ্যোগের ওপর ৬৭ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
মেসবাহ বলেন, ‘যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এই চলমান প্রক্রিয়া। যুব উন্নয়ন বিভাগ দেশব্যাপী মোট ৮৩টি ব্যবসায় উদ্যোগের ওপর যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬৭ লাখ যুবকের মধ্যে ২৩ লাখ যুবক নিজেদের স্বউপার্জনশীল হিসেবে গড়ে তুলেছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রতিটি উপজেলায় শেখ জামাল যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এতে আরো বলা হয়, নিট যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘ইকোনোমিক অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ফর নিট (ইএআরএন)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, প্রকল্পটির আওতায় সরকার পাঁচ বছরে ২০ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
তিনি আরো বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিট যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের অর্ধেক নারী। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া হবে।
মেসবাহ বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে অংশীদার বানানোর লক্ষ্যে তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির আগের দুটি পর্যায়ের আওতায় দেশব্যাপী প্রায় ৩১ হাজার পরিবেশ-বান্ধব বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়। নতুন প্রকল্পটির আওতায় প্রতিটি জেলায় ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হবে।
সাভারে শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বিভিন্ন যুব উন্নয়ন কর্মকা-ে মানের দিক দিয়ে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
কয়েকদিনের মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলন, যুব মতবিনিময়, যুবকদের ওপর আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হবে।
এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পিএইচডি, এমফিল, এম এস ও ডিপ্লোমা ডিগ্রীও দেয়া হবে। এটি হবে যুবকদের জন্য উচ্চশিক্ষার একটি কেন্দ্রবিন্দু।
পাশাপাশি, দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ১২৫টি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো ১৮৬টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ চলতি অর্থবছরে সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও, আরো ১৭৩টি স্টেডিয়াম নির্মানের জন্য ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ চলছে।
এছাড়াও প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও সংস্কার করা হবে।