- প্রকাশিত : ২০১৮-১২-১২
- ৪৫৬ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’
নিউজ ডেস্ক:–২০১৪ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ মিমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদসমূহ অধিকতর আহরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে শুরু করে। সে কারণেই বাংলাদেশে এখন ইষঁব ঊপড়হড়সু একটি নতুন ‘উন্নয়ন ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর এই ইষঁব ঊপড়হড়সু বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্রবন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনঃব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পুনরূদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ তে সুনিপূণভাবে সন্নিবেশন করা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মহাসাগর ও
সমুদ্র বিষয়ক আইন এর ওপর ৭৩ তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্লেনারির এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক
মো. আরিফুল ইসলাম।
সমুদ্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমনের বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার উদ্বেগের কথা জানান। এসকল অনিয়মতান্ত্রিক মানব চলাচল মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সমুদ্রবিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্রবিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে আরিফুল ইসলাম বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক আইনসংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..