×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৩-০৬
  • ৫৯৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের পোশাক এবং বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে দেশ দুটির পরস্পরের পরিপূরক হওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সুবিধার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে প্রতিবেশী দেশ দুটির ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার ঢাকার গুলশানে বিজিএমইএর পিআর অফিসে সিনথেটিক অ্যান্ড রেয়ন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (এসআরটিইপিসি) সাবেক চেয়ারম্যান শ্রী শ্রী নারিয়ান আগরওয়ালের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম ও সহসভাপতি মিরান আলী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক ব্যবসার সুযোগ চিহ্নিতকরণ এবং সুযোগগুলো সদ্ব্যবহার করার জন্য বিজিএমইএ এবং এসআরটিইপিসি মধ্যেকার সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের পোশাক এবং বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে উভয় সংগঠন কিভাবে একসাথে কাজ করতে পারে, সে বিষয় নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। অন্যদিকে, ভারতের শক্তিশালী বস্ত্র শিল্প রয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স, ডাইস, পকমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করে। আবার, ভারত বাংলাদেশের পোশাকের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল রপ্তানি বাজারও বটে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পণ্যে বৈচিত্র্যকরণ করেছে, কটন থেকে নন-কটন পণ্যে মনোনিবেশ করছে। ভারতের শক্তিশালী টেক্সটাইল শিল্পে ম্যান-মেইড ফাইবার উৎপাদিত হয়, যেটি বাংলাদেশের পোশাকখাতের চাহিদা মেটাতে পারে। তিনি বলেন, সুতরাং উভয় দেশ একে অপরের পরিপূরক হতে পারে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। 
এসআরটিইপিসির সাবেক চেয়ারম্যান ভারতের সুরাটে আগামী ২০ থেকে ২২ মার্চ অনুষ্ঠেয় আসন্ন প্রদর্শনী ‘সোর্স ইন্ডিয়া ২০২২’-এ বাংলাদেশী পোশাক রপ্তানিকারকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিজিএমইএর সহযোগিতা চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat