×
ব্রেকিং নিউজ :
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৬টি বসতঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালা দিনাজপুরের দৃষ্টিনন্দন দিঘী রামসাগর নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ: নাছিম জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-০৫
  • ৪৭১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাষা হলো সমস্ত প্রকাশের ভিত্তি। পদার্থবিদ্যা কি অর্থনীতি বা প্রকৌশলবিদ্যা, জীবপ্রযুক্তি কোনো একটি বিষয় ভাষা ছাড়া আয়ত্ত করা যায় না।


এসবই আমাদের এখানে ইংরেজিতে পড়তে হচ্ছে। অথচ বাংলাতেও আমাদের রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ। পড়া এবং লেখায় দুই ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) শুরু করেছে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ’। এই বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন কবি ও অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। তিনি একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিষয়ে কথা বলেছেন।

১. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে পড়াশোনা করে একজন শিক্ষার্থী ঠিক কোন ক্ষেত্রে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন বলে মনে করেন?

অধ্যাপক ড. শামীম রেজা: উত্তরটি সরাসরি দেয়ার আগে ঘুরিয়ে অন্যদিকে আলো ফেলার চেষ্টা করছি। আমি ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে দাঁড়িয়ে (২০/২২ বছর আগে) প্রথম যে প্রশ্নটি করতাম তা ছিল, ‘জীবনে কে কী হতে চাও? অর্থাৎ পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কী?’ আটশয়ের অধিক শিক্ষার্থী চার শাখায় বিভক্ত। যারা এই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছে। মেধাবী হিসেবে ভর্তি হয়েছে। তাদের প্রায় সকলেরই ইচ্ছে মা-বাবার শেখানো সেই বুলি ‘ডাক্তার’, ‘ইঞ্জিনিয়ার’ হবে।

আমি যেহেতু বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম পেশা সম্পর্কীয় নেতিবাচক ভাবনা আমার নেই। তবে এই পেশার মানুষ যেহেতু নতুন কিছু উদ্ভাবন করেন না, মুখস্থ ও সাজানো বিদ্যার নতুন নতুন শেখানো কৌশল প্রয়োগ ছাড়া তাদের তেমন কিছু করার নেই। তাহলে কেন সমাজে এই মেধার অপচয় ঘটছে? কারণ কি শুধুই দুর্নীতিগ্রস্থ সমাজব্যবস্থা? নাকি আমাদের সৃজনশীল চিন্তার দীনতা।

শিক্ষার্থীদের বলতাম এতো আমার মতো (চাকর+ই) চাকরের সেবাগিরি ছাড়া কিছু নয়। তোমরা মানুষ হবার স্বপ্ন দেখো না? প্রতিভা ও মেধা কিন্তু আলাদা। মেধাবীরা পৃথিবী চালায়। প্রতিভাবানরা পাল্টে দেয় সমাজ, রাষ্ট্র কাঠামোর চিন্তা সবকিছু। আইনেস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন বোস, সত্যজিৎ রায়, জয়নুল আবেদিন। পৃথিবী এই প্রতিভাবানদের নতুন নতুন সৃষ্টি আর উদ্ভাবনের জন্য আজ এখানে দাঁড়িয়ে। তোমরা স্বপ্ন দেখো নতুন সৃষ্টির, উদ্ভাবনের, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সকল বিজ্ঞানাগারে কাজ করার, সৃজনশীল কর্মে নিজেকে উৎসর্গ করা, এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।

ট্যাকনিক্যাল বিষয় ছাড়া ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ পড়ে একজন শিক্ষার্থী সকল ধরনের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। ধরুন জাহাঙ্গীরনগরের তৃতীয় ব্যাচের বাংলার শিক্ষার্থী ছিলেন মুহসিন ভাই। তিনি মেঘনা ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, তিনি প্রাক্তন শিক্ষা সচিবও ছিলেন। পিএস.সির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা সচিব মোহম্মদ সাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় পড়েছেন। বাংলায় পিএইচডি করেছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বেশ ক’জন সফল উদ্যোক্তা বাংলার ছাত্র ছিলেন বা আছেন বর্তমানে; পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের অফিসার এমনকি পররাষ্ট্র ক্যাডারেও বাংলার প্রতিনিধিত্ব আছে।

এছাড়া বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষক বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডারে, নন-ক্যাডার শিক্ষকের চাকরির ক্ষেত্র ‘ইংরেজি সাহিত্য’, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ ছাড়া আর কারো এত ক্ষেত্র নেই। তাছাড়া দেশের প্রকাশনা শিল্প ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বাংলা মাধ্যমে চালিত; ফলে ক্যারিয়ার গড়তে এই সকল জায়গায় বাংলায় স্নাতক অনিবার্য।

২. এই বিষয়ে পড়াশোনা করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কি বৈশ্বিক বাজারে যুক্ত হতে পারবেন? কী ধরনের দক্ষতা একজন শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে?

অধ্যাপক শামীম রেজা: বৈশ্বিক বাজার বলতে কী বোঝাতে চাইছেন? যদি বলেন ইউল্যাব যাদেরকে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ পাঠদান করে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি প্রদান করবে তাদের কী কী আবশ্যক পাঠ; তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরেই মিলবে করপোরেট ওয়ার্ল্ডের চাহিদা মোতাবেক যতটুকু কাজের ইংরেজি বলা ও চলায় দরকার, যতটুকু কম্পিউটার সায়েন্স সম্পর্কিত ব্যবহারিক পাঠ দরকার, ততটুকু এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলে একই খরচে পাঠদান করানো হচ্ছে ও হবে। তারপরের সত্য হলো ব্যক্তি বা শিক্ষার্থী কীভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছবেন। ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ পাঠ করে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ান স্ট্যাডিজ বিভাগে পাঠদান করাচ্ছেন তো। ঔপনিবেশিক মডেলের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বাংলা পড়ে গিয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রিও অর্জন করে এসেছেন এদেশের বিশিষ্টজনরা।

৩. ধরা যাক, এটা তো সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এরাই বর্তমানকে শাসন করছে। এখন তো বিশ্ব আন্তর্জাতিকীকরণ করার প্রক্রিয়ার ভেতর রয়েছে। সেখানে আমরা কিভাবে ভাবতে পারি যে বাংলা ভাষা কিংবা বাংলা সাহিত্যে পড়লে ভিন্ন কিছু করার সুযোগ তৈরি হবে?

অধ্যাপক শামীম রেজা: সোশ্যাল মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে শুধুমাত্র ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ স্নাতকরা নয় ‘ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য’ ‘তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ এমনকি ‘ডাক্তার’, ইঞ্জিনিয়ার’ সকলকেইতো এই নতুন মিডিয়া সঠিকভাবে ব্যবহার জানতে হবে। যন্ত্রসভ্যতার শুরু থেকে এ পর্যন্ত চতুর্থধাপে এই যে ভিজ্যুয়াল সংস্কৃতির উদ্ভব একে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্ররা অবশ্য পাঠ্য হিসেবে প্রায়োগিকভাবে বিবেচনায় নিলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোথাও তো কাজ পেতে সমস্যা হবার কথা নয়।

ঢাকা লিটফেস্টে ২০১৫ সালে একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানের পুরস্কারপ্রাপ্ত নোবেল লোরিয়েট এসেছিলেন যাঁর নাম হেরল্ড ভারমাস। যিনি স্নাতক করেছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে কিন্তু তাঁর সাহিত্য নিয়ে আর পড়তে ভালো লাগেনি। ফলে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন লোক ভর্তি হতে পারেন না।

যারা বয়সে অধিক কিংবা পড়েছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে এখন পড়তে চান বাংলা সাহিত্যে। আমরা ইউল্যাব দিগন্ত খুলে দিয়েছি। এখানে প্রথম বর্ষে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতক, বাংলায় আবার নতুন করে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন। এমএ-তে অনেক শিক্ষার্থী পাবো ভবিষ্যতে।

৪. বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিস্তার ঘটছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমের ভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। আপনার কি মনে হয়, বাংলা ভাষায় যদি সাংবাদিকতা পড়ানো হতো তবে আমাদের গণমাধ্যমের ভাষার মান আরও সমৃদ্ধ হতো?

অধ্যাপক শামীম রেজা: গণমাধ্যমের বেশিরভাগই বাংলা। অথচ এক পৃষ্ঠা বাংলা লিখতে ১৭টি বানান ভুল। আদতে বিদ্যায়তনে কোনো স্তরেই সুন্দর শুদ্ধ করে বাংলা লেখাটি কি সঠিকভাবে আমরা শেখাতে পারছি না?

এটা স্বাভাবিক ঘটনা একটা বিষয়ে দক্ষ হতে হলে সেই বিষয়ে অভিনিবেশ দরকার। এখানের আকাদেমিয়ায় বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান পদ্ধতিতে দুইটি ভাষা বাধ্যতামূলক করা উচিত আর একটি ঐচ্ছিক। বিশেষ করে সাংবাদিকতা বিষয়ের ক্ষেত্রে। যতদিনে নিজের ভাষায় ভালো লিখতে-বলতে-পড়তে পারবেন না ততদিনে অপর ভাষাও তথৈবচ হবে। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের মতো। ফলে রবীন্দ্রনাথের উক্তিটিই শিরোধার্য্য ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি। তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন। ’

৫. ধরা যাক একজন শিক্ষার্থী বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর গ্রহণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ পিএইচডির জন্য দেশের বাইরে যাবেন। সেক্ষেত্রে ভাষা কি প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দেবে?

অধ্যাপক শামীম রেজা: বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী অবশ্যই উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারিদের মতই স্ব স্ব ক্ষেত্রে আইএলটিএস, জিয়ারি কিংবা জাপানিজ, ফরাসী, জার্মান, স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষা জেনে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন। অন্তরায় হবে কেন? একজন পাবলিক এ্যাড বা জার্নালিজম, প্রত্নতত্ত্ব বা নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদেরও যা দরকার হবে ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে তাই দরকার হবে বাংলার ক্ষেত্রে।

৬. আপনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ- এ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগটিকে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ থেকে কীভাবে আলাদা করবেন? অর্থাৎ এর ভিন্নতা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে বলে মনে করেন?

অধ্যাপক শামীম রেজা: স্বায়ত্ত্বশাসিত কিংবা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বিষয়ক যে জ্ঞান দান করার পদ্ধতি আছে সেইগুলো ইউল্যাবে শিক্ষাপাঠক্রমে সন্নিবেশিততো আছেই। তাছাড়া ব্যবহারিকভাবে সম্পাদনা, প্রমিত ভাষায় কথা বলার চর্চা , ক্ষুদ্র ভাষা গোষ্ঠীর সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে মাঠকর্ম, অনুবাদ চর্চা অবশ্যপাঠের মধ্যে আছে।

পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে সৃজনশীল কর্ম থেকে ভিন্ন মাধ্যমে বিশেষ করে নাটকে/চলচ্চিত্রে কীভাবে, কবিতা/গল্প/উপন্যাস ব্যবহৃত হয়েছে তার তুলনামূলক পাঠ। তাছাড়া ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ। ব্যবহারিকভাবে পাঠদানের মাধ্যমে অনুবাদ সাহিত্যের মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।

বিশ্বসাহিত্যের তুলনামূলক পাঠের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। এতে করে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে খবর পাঠ ও সম্পাদনায়, প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করা এবং উদ্যোমী হলে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা, সৃজনশীল লেখালেখিতে মনোসংযোগ করা, নিজেকে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে ইউল্যাবের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ পাঠ কার্যক্রম।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat