×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১১
  • ৩৪৯৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি  :  নড়াইলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু চলাচল করছে হাজারো মানুষ। দুই বছর ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে নড়াইলের লাহুড়িয়ার ঝামারঘোপ খালের উপর নির্মিত সেতুটি। নড়াইল-মাগুরা দুই জেলার সীমানায় গুরুত্বপূর্ন এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিনই আতঙ্ক আর ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার মধ্যেই চলছে কৃষকের জমির ধান নেয়া, শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে বিদ্যালয়ে। যে কোন সময় ভেঙ্গে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা। কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে সেতুর একপ্রান্তে অর্ধেক জায়গা জুড়ে ধ্বসে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে পুরো জায়গায় গর্ত হয়ে ভিতরের রড বের হয়ে পড়ে। দুই বছর আগে একটি ট্রাক চলতে গিয়ে হেলে পড়ে সেতুটি। এরপর স্থানীয় লোকেরা গর্ত হওয়া স্থানে কয়েকটি কাঠের বড় তক্তা দিয়ে ইজিবাইক, ভ্যান আর কৃষিপন্য ঘোড়ার গাড়িতে পারাপার করছেন। নসিমন আর ভটভটি চললে কাপতে খাকে সেতুটি,তবুও বাধ্য হয়েই চলছে পারাপার।

সেতুর তলদেশের অবস্থা আরো করুন। ইটের উপর দাড়িয়ে থাকা সেতুর নীচের দুটো গার্ডার এর একটি ধ্বসে একদিকে হেলে পড়েছে। পিলারের ইটগুলো খুলে সেখানে পাখির বাসা তৈরী হয়ে তাও খসে পড়ছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঝামারঘোপ খালের উপর নির্মিত হয় ১৩ মিটার দৈর্ঘের ছোট্ট এই সেতুটি। স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ঝুকিপূর্ন সেতুটি ঘুরে দেখেছেন, ছবি তুলে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন।

খলিশাখালি গ্রামে ব্যবসায়ী আকবর মৃধা বলেন, এই ব্রীজ ভাঙ্গা থাকার কারনে আমাদের মিঠাপুর হাটে যেতে গেলে ৮ কিলোমিটার নোহাটা ঘুরে মিঠাপুর হাটে যেতে হয়। আমাদের এই দূর্দশা কেউ দেখে না।

স্থানীয় কৃষক রহমত আলী বলেন, এপাশের জমির ধান কেটে ঘোড়ারগাড়ি করে বাড়িতে নিতে হয়। প্রতিদিন ই ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটে। ভয়লাগে কখন জানি ব্রীজ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাই, তবুও যেতে হয়।

স্থানীয় যুবক ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরাই চলাচলের জন্য কাঠ দিয়েছি।
ঝামারঘোপ গ্রামের খলিশাখালী প্রাইমারী স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র বিল্টু দাস বলেন, আমরা ভয়ে ভয়ে ব্রীজ পার হয়ে স্কুলে যাই,অনেক সময় ভ্যান যেতে চায় না তাই হেটেও যেতে হয়।
লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় আছে। আমরা বিষয়টি সকলকে জানিয়েছি।

লোহাগড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসীম বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলাম কিন্ত চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের চাহিদায় ধান মৌসুম পর্যন্ত রাখা হবে। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat