×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-০৫
  • ৭৭২৪৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের দিনে ২ লক্ষ মানুষকে যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই চট্টগ্রাম নগরীতে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত বাকলিয়া এক্সেস রোড। সড়কের অবকাঠামোগত কাজ ইতিমধ্যে পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এখন চলছে শোভাবর্ধণের কাজ- যা এ মাসেই শেষ হবে।
শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কের কালামিঞা বাজারের উত্তর পাশ থেকে নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরা মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ (১৪৫৫ মিটার) সড়কটি নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট প্রশস্থের সড়কটি চার লেনে নির্মিত হয়েছে। সড়কের দু’পাশে ড্রেন কাম ফুটপাত রয়েছে। উভয় পাশের ২০টি সংযোগ সড়কের সাথে রাস্তাটিকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে বহু বছর ধরে যাতায়াত সমস্যায় তীব্রভাবে ভুগতে থাকা বাকলিয়া ও চন্দনপুরার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। এলাকাকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে রাস্তাকে মূল জমি থেকে প্রায় ৩ ফুট উঁচু করা হয়েছে ও বেশ কয়েকটি কালভার্টের মাধ্যমে পানি প্রবাহের সুবিধা করে দেয়া হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)  প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ টিপু  বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের জনগণকে যানজট এড়িয়ে নগরীতে প্রবেশের সুবিধা করে দিতে সিডিএ এ প্রকল্প গ্রহণ করে। ফিজিবিলিটি স্টাডির হিসাব মতে, কর্ণফুলী সেতু ও বহদ্দারহাটের মাঝে কোনো বাইপাস করা গেলে দেড় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এ পথে যাতায়াত করবে। গত দশ বছরে এ সংখ্যা প্রায় ২  লক্ষে পৌঁছেছে।’
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু আরো আগে বাকলিয়া ডিসি রোডে মৌসুমী আবাসিক এলাকায় সিডিএ’র অনুমোদন নিয়ে নির্মিত ১০ তলা একটি ভবনে আটকে যায় সড়কটি। সিডিএ এলাইনমেন্ট কিছুটা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সড়কের কাজটি শেষ করা হয়।
প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, ‘কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় সিডিএ পরবর্তী ৫০/১০০ বছরের সুবিধা-অসুবিধা মাথায় রাখে। এখানেও সেটি শতভাগ মানা হয়েছে। বিশেষ করে জলাবদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়কটিকে স্থিত জমি থেকে ৩ ফুট উঁচু করা হয়েছে এবং প্রশস্থ ড্রেনের মাধ্যমে পানির সহজ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে অতি বৃষ্টিতেও সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাবে না। এছাড়, মূল সড়ক দু’টোর সংযুক্ত অংশেও জলজটের আশঙ্কা নেই। আমরা ইতিমধ্যে এ দেড় কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। এখন শোভাবর্ধণের কাজ চলছে, যা এ মাসের মধ্যে শেষ হবে।’
তিনি বলেন, সড়কটি ছোটো হলেও নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর ইত্যাদি এলাকার যানবাহনের চাপ অনেক কমিয়ে আনবে। এছাড়া, কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রধান গন্তব্য চকবাজার, আন্দরকিল্লা, কোর্ট বিল্ডিং-এ যাতায়াতকে অত্যন্ত সহজ করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্মাণের পর ১ বছর সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। দু’পাশের বাসিন্দাদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে- তারা যেন সড়কটি পরিচ্ছন্ন ও দখলমুক্ত রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।’
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস  বলেন, ‘নগরীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির কাজ আমরা শেষ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে সৌন্দর্য্যবর্ধণের কাজও শেষ হবে। সড়কটির নির্মাণশৈলীতে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে ফ্লাডলেভেল থেকে ওপরে তোলা হয়েছে সড়কটিকে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরামর্শ মতে- নগরীতে যেন যানজটের নতুন কোনো উৎস সৃষ্টি না হয়, সেজন্য শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক ও সিরাজুদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরার সংযুক্ত অংশে ওয়ান-ওয়ে এন্ট্রেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat