×
ব্রেকিং নিউজ :
বিডিইউতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী কাপ্তাই লেকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ফিলিস্তিনের ৫০ শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেবে আইআইইউসি, চট্টগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে কাল থেকে চলবে বিচারকাজ উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারী : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-২৪
  • ৭৮৬৮৮৪ বার পঠিত
  • আলমাহমুদ-ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট-সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নাদা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাশেম হাজী ও মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া জনবল নিয়োগের ১১ লাখ টাকা অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগীরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ প্রদান করেছে। ভুক্তভোগীর লিখত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন ২০২২ইং তারিখে নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নাদা দাখিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর স্থানীয়রা চাকুরীর আশায় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাশেম হাজী ও মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল মজিদের নিকট প্রার্থীরা যোগাযোগ শুরু করেন। আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদন করেন আব্দুল আলীমের স্ত্রী মিনা খাতুন। আয়া পদে মিনা খাতুনকে চাকুরীর জন্য মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপিতর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন আব্দুল আলীম। চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় প্রথমে ৬ লাখ টাকা দেন মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট আব্দুল মজিদের নিকট। নিয়োগ পরিক্ষার আগেই সুপারিন্টেডন্টে পুরো টাকা দাবি করলে মাদ্রাসার সঙ্গে ২ শতক জমি দিতে রাজি হয়। অপরদিকে নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদন করেন নাদা গ্রামের মোঃ নূরের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম। আবেদন পত্র দাখিল করার পর নাদা দাখিল মাদ্রাসার যুপারিন্টেনডেন্ট ও সভাপতি তাকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে মাদ্রসায় ডেকে নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ লাখ টাকায় নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। মনিরুল ইসলাম প্রথমে ৫ লাখ মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্টকে প্রদান করে এবং বাকি ১০ লাখ টাকা নিয়োগ পত্র পাওয়ার পর দেয়ার কথা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল করে পর পর তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে মিনা খাতুনের স্বামী আব্দুল আলিম ও মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিয়োগের কথা বলে আমাদের নিকট থেকে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মজিদ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাশেম হাজী টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েও আমাদের নিয়োগ না দেওয়ার পায়তারা করছে । ইতিমধ্যে  প্রথম নিয়োগ বাতিল করে পর পর তিনবার নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি খুব শিঘ্রই নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।আমাদের চাকুরিতে নেয়ার কথা বললে মাদ্রাসার সুপার কিছু বলে না এমনিক আবার টাকা ফেরত চাইলেও সেটা দিচ্ছে না। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি বর্তমানে অন্য প্রার্থীরদের চাকুরি দেয়ার কথা চলছে এমনকি বড় ধরনের অর্থ লেনদেনের পাঁয়তারা করছে । আমরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ প্রদান করেছি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বিকার করে নাদা মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট আব্দুল মজিদ জানান, আমি কোন ধরনের টাকা নেইনি চাকুরী দেওয়ার কথা বলে , আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। 
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম শামসুল হক জানান , ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat