×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংঘর্ষে তিন জন নিহত, আহত শতাধিক ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে : তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিযোগিতা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ অনলাইন জুয়ায় জড়িত সন্দেহে ৪৮,৫৮৬টি হিসাব স্থগিত করেছে বিএফআইইউ : অর্থ প্রতিমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন দেশের আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যৌথ সভা আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর নিকট ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ ও মিল্কিং মেশিন হস্তান্তর গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ এর মাঠ দিবস
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৪-০২
  • ২৩৪৪৬২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনাজপুর শহরের বিপণন কেন্দ্রগুলো   নতুন জামা কেনার জন্য পবিত্র রমজান মাসের রোজার   শেষ দিকে জমে উঠতে শুরু করেছে।সব শ্রেণি পেশার মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত  নতুন কাপড় কিনছেন।
দিনাজপুর শহরে  ঈদ বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় ,  শহরের রেইন বো মার্কেট, মালদহপট্টি, গুনশান মার্কেট, উত্তরা মার্কেট, আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট, লুৎফরনেছা টাওয়ার, বিগবাজার, হাউসিং শপিং মলসহ অন্য মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের  ভিড় বাড়ছে। সাধ আর বাজেটের সঙ্গে মিল রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আপনজনদের জন্য ক্রেতারা  বিভিন্ন রঙ্গে বিরঙ্গের পোশাক  কেনাকাটা করছেন । বিপণন কেন্দ্রগুলো সেজেছে রঙিন সাজে এ দিকে ছেলেদের জন্য গ্যাবাডিন ও জিন্স প্যান্ট, কালারফুল শার্ট, চেক শার্ট এবং এক কালারের শার্টসহ বিভিন্ন রকমের বাহারি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয়েছে দোকান গুলো। ঈদ বাজারগুলো রঙ্গিন শহরে পরিণত হয়েছে। রঙ্গে সেজেছে শহর।
ক্রেতা ফয়সাল হাবিব  বলেন, এ বছর কাঙ্খিত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটের মধ্যেই এখন পছন্দ করতে হচ্ছে। যেসব পণ্য পছন্দ হয়, তার দাম এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আগের বছরের তুলনায় অনেক পণ্যেরই দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও ঈদ বলে কথা। প্রিয়জনকে ঈদ উপহার দিতে হবে।
ক্রেতা সোহেলী বেগম  বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি। এ বছর সাধারণ  প্রতিটি থ্রি পিসের ৭ থেকে ১২ শত টাকা দাম । একই পোশাক একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে।
রেইন বো মার্কেটের বিক্রেতা হাসান আলীর বলেন- ‘এ যে আপা, ৩০০-এর মাল ২০০তে  নিয়ে যান আপা, পানির দরে।’ আর এ হাঁকডাক ছিল গতকাল সোমবার   বড়মাঠ হকার্স  বাজারে। এখন স্বল্প-মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে  বাজারটি। নারী-পুরুষ সবার কাপড় পাওয়া এখানে পাওয়া যায়।
বাসুনিয়াপট্টির অস্থানীয় দোকানদার আব্দুল মালেক বলেন, বড় বড় দোকান ও শপিংমলে বিক্রি হয় যে মানের পোশাকগুলো, ঠিক সে মানের পোশাকও সস্তা দামে পাওয়া যায় ব্যতিক্রমধর্মী এ বউ বাজারে। দামও তুলনামূলক কম থাকে। বউ বাজারে দেখা যায়, মাটিতে ত্রিপল বিছিয়ে তার ওপর সাজানো শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, চাদর। বিক্রি হচ্ছে চুড়ি-ফিতা-দুলসহ নানা ধরনের স্যান্ডেল ও জুতা।
একই কথা বলেন বিক্রেতা মোকলেছুর রহমান, বউ বাজারে বিভিন্ন কাপড়ের সেলাই করা থ্রিপিস বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। এ ছাড়া জর্জেট, সুতি, বাটিক, শিফনের ওড়না ৭০ থেকে ১৭০ টাকায়, বিভিন্ন রকমের শাড়ি ৩৫০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
বউ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর  রহমান বলেন, দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, সাজসজ্জার খরচ উঠাতেই বড় দোকান বা মার্কেটে সমমানের পোশাক বা কাপড়ের দাম বেশি হয়। আর বাড়তি বিভিন্ন খরচ লাগে না বলেই বউ বাজারে সস্তায় পোশাক বা কাপড় পাওয়া যায়। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বউ বাজারে ক্রেতারা ভিড় করেন। বর্তমানে ধনী পরিবারের নারীরাও আসছেন এখানে কাপড় কিনতে।
কর্মজীবী নারী  পারভিন আক্তার ঝর্ণা  বলেন, সামনে ঈদ, তাই পরিবারের জন্য এখানে কেনাকাটা করতে এসেছি। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এ বাজার। এখানে শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না নিয়েছি। আর ছেলের জন্য শার্ট, প্যান্ট এবং স্বামীর জন্য লুঙ্গি নিয়েছি। এখানে কম দামে পাওয়া যায়।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিপণন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বেশি হয়। পুলিশের পাশাক ও সাদা পোশাকে দায়িত্বপালন করা হচ্ছে, যাতে র্নিবিঘেœ জনসাধারণ কেনাকাটা করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat