বিএনপি তাদের প্রস্তাবিত বাজেটের ৭০ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে এবং আওয়ামী লীগ তাদের গত ১৫ বছরের শাসনামলে প্রস্তাবিত বাজেটের ৮৭ শতাংশেরও বেশি বাস্তবায়ন করছে।
জাতীয় সংসদে আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সরকারি দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এ কথা বলেন।
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং হামাস-ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এর কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের হুইপ সাইমুম সারওয়ার কামাল বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালে বিএনপি ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার বাজেট দেয় এবং তাদের শেষ বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। বিএনপি তাদের ৫ বছরের মেয়াদে প্রতি বছর মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ তার বাজেটের সূচনা করেছিল ৪,০০,২৬৬ কোটি টাকা দিয়ে, এটি ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪,৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭,৬১,৭৮৪ কোটি টাকা এবং আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ৫ বছরে বাজেট বার্ষিক ৭০,০০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির ৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ৭০ শতাংশ, যেখানে আওয়ামী লীগের গত পাঁচ বছরে তা ছিল ৮৭ শতাংশের বেশি।
সরকারি দলের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান প্রকৃত করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে ল্যান্ডমার্ক হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি দলের সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি রোধে জোর দেয়া হয়েছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ বলেন, প্রকৃত করদাতারা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দিচ্ছেন। কেন কালো টাকার মালিক তাদের টাকা বৈধ করতে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিবেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির সদস্য একেএম মুস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিন, জয়া সেন গুপ্তা, মো. সিদ্দিকুল আলম।
এর আগে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা সর্বাত্মক ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।