সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্থানীয় শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং মূল্যস্ফীতি রোধের লক্ষ্য রাখা হয়েছে এবং এতে সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণ হবে। তিনি আজ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
সংসদ উপনেতা বলেন, ‘যদিও একটি গবেষণা সংস্থাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল দেশের অর্থনীতির তীব্র সমালোচনা এবং প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে অভিহিত করেছে।’ তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘যদি অর্থনীতি সঠিকভাবে কাজ না করে। তাহলে কিভাবে দেশ ইতিমধ্যে ৩৩ তম বিশ্ব অর্থনীতির স্থান অর্জন করেছে?’
তিনি বলেন, বাজেটে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার দিক নির্দেশনা রয়েছে। কর অব্যাহতি যৌক্তিকীকরণ, কর্মসংসংস্থান সৃষ্টি, মূল্যস্ফীতি হ্রাস করা এবং সাধারণ মানুষের জীবনমানকে আরও উন্নত করা এবং তাদের চাহিদাপূরণের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অস্তিত্ব প্রবাহমান।
সময়োপযোগী, সুচিন্তিত এবং বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জকৃত বাজেট উপস্থাপন করায় সংসদ উপনেতা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বলানী সংকট, সাপ্লাই চেইন বিপর্যয়, পণ্য পরিবহনে বাধা, বাজারে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভূরাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতি যে মন্দার কবলে, একথা আজ বলাই বাহল্য।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ডলারের মূল্যে অস্থিরতা সারা বিশ্বকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। মূল্যস্ফিতি ও বেকারত্ব সমস্যায় বিশ্ববাসী আক্রান্ত। সফলতার সাথে করোনা অতিমারি মোকাবেলা করে সরকারের নানা প্রণোদনার ফল যখন আমরা ঘরে তুলছিলাম তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সময়ে বাজেট বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা থেকে দেশকে অনেকটা স্বস্তি দিবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বাজেটে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সহায়তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সহায়ক হবে।