- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৫
- ৮৭৯ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
পরীক্ষার হল থেকে অ্যানালগ ঘড়ি সরিয়ে ফেলা হবে এবং এর পরিবর্তে সেখানে একটি ডিজিটাল ঘড়ি প্রতিস্থাপন করা হবে, কারণ কিশোর-কিশোরীরা সময় বুঝতে পারে না- এমন দাবী যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের।
পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন করা হবে কারণ জিসিএসই (১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি) এবং এ-লেভেলের (১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সি) শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অ্যানালগ ঘড়ি থেকে সঠিক সময় তারা বুঝতে পারেন না।
অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুল অ্যান্ড কলেজ লিডারস (এএসসিএল) এর ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি ম্যালকম ট্রোব বলেন, ‘পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের যতটা সম্ভব রিলাক্স থাকার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু যদি সঠিক সময় বুঝতে না পারে তাহলে তা মানসিক চাপ যোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীরা তাদের মোবাইল, কম্পিউটার সহ প্রায় সবকিছুতেই ডিজিটাল সময় দেখে অভ্যন্ত, তারা সবকিছুই ডিজিটাল পেয়ে আসছে্। তাই তারা সময়টা সর্বত্রই ডিজিটালে দেখছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্তর পার করার পর অ্যানালগ ঘড়ির সময় সঠিক ভাবে বুঝতে পারবে।’
সোশ্যায় মিডিয়ায় এ খবরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, জিসিএসই বয়সের শিক্ষার্থীরা অ্যানালগ ঘড়ির সঠিক সময় বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
টুইটারে নিকোলা নামের একজন জানান, ‘তাদের স্কুলে অ্যানালগ ঘড়ির জায়গায় ডিজিটাল ঘড়ি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, কারণ শিক্ষার্থীরা সঠিক সময় বুঝতে পারেনি’।
পল ওয়েদারলেল নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘যদি তারা অ্যানালগ ঘড়ির সময় পড়তে না পারে, তাহলে পরীক্ষার জন্য তাদের হলে প্রবেশ করা উচিত নয়।’
তবে অন্য একজন ব্যবহারকারী যুক্তি দেন যে, ‘ডিজিটাল ঘড়ির সময় পড়াটা খুব সহজ, তাই এটা ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।’
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা এখন খুঁজে পাচ্ছেন যে, জিসিএসই এবং এ- লেভেলের অনেক শিক্ষার্থী অ্যানালগ ঘড়ির সময় পড়তে পারছে না।
শিক্ষকরা যদিও টিনেজারদের অ্যানালগ ঘড়ির সময় শিখতে উৎসাহিত করতে আগ্রহী কিন্তু পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল ঘড়ি বেশি সুবিধাসম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন। কারণ তারা পরীক্ষার সময়টা শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ করতে চান। তাছাড়া পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের বার বার সময় জানতে চাওয়াও এর ফলে বন্ধ হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..