টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান, ,বাদাম ,ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৯ টার তথ্যমতে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারের পানি বিপৎ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আজ সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে তবে অনান্য নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।
সৃষ্ট বন্যায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং গ্রামীণ কাঁচা সড়ক নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম জানান, তার উপজেলায় ৫০০ পরিবার পানি বন্দি রয়েছে।
এছাড়া ৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ চরের কৃষক মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, আমার তিন বিঘা জমির আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকিসব পানির নিচে তলিয়ে গেছে।আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক কৃষক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমার শাক সবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত পানি নিচে তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয় ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায় নাই।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান,আজ থেকে পানি কমাতে পারে। তিস্তা বাদে সব নদীর পানি বিপৎ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।