×
ব্রেকিং নিউজ :
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন : মেয়র তাপস ভোলায় মহান মে দিবস পালন রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্পের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় আজ দুপুরে ৪০.৭ ডিগ্রিতাপমাত্রা রেকর্ড গাজা যুদ্ধে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু : নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৮ মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার জাতির পিতার সমাধিতে রাজউক চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সিলেটের আদালত পাড়ায় ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের জন্ম : শেখ পরশ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৬
  • ৭৫৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  ইসলামী ব্যাংকের সব শেয়ার বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবনে সিনা ট্রাস্ট। জামায়াতপন্থী এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে এই মুহূর্তে ট্রাস্টের কাছে ব্যাংকটির তিন কোটি ৬০ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯১টি শেয়ার আছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি ব্যাংকটির এই শেয়ার ইবনেসিনা ট্রাস্ট বেচে দেবে পুঁজিবাজারেই। আগামী ৩০ কার্যদিবসে এই বিক্রি চলবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্লক মার্কেটে। বড় বিনিয়োগকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই ব্লক মার্কেটে লেনদেন করেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়। একই দিন ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ এক টাকা করে বিনিয়োগকারীদের লাভ দেবে ব্যাংকটি। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটির করপরবর্তী শেয়ারপ্রতি প্রতি মুনাফা হয়েছে তিন টাকা ছয় পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটিতে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের ডামাডোলের মধ্যেও ব্যাংকটি লাভের পরিমাণ বাড়াতে পেরেছে। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল দুই টাকা ৭৮ পয়সা। বর্তমানে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১০ কোটি টাকা। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসেবে মোট ১৬১ কোটি শেয়ার আছে। অর্থাৎ চলতি বছর ব্যাংকটি কর পরবর্তী ৪৯২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছর যা ছিল ৪৪৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তবে মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ায়নি পর্ষদ। আগের বছরও তারা শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর এটি যে বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয়নি, সেটি বুঝা গেছে শেয়ার লেনদেনে। মুনাফা ঘোষণার দিন ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার দর হারিয়েছে। গত এক বছরে ব্যাংকটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর সর্বনিম্ন দর ছিল ২৫ টাকা ১০ পয়সা। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার সময় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ছিল ৭০ শতাংশ। বাকি অর্থের জোগান দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার এবং কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তবে এটি সব সময় জামায়াত প্রভাবিত ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে ইসলামী ব্যাংকের বেশ কিছু শাখা ও এটিএম বুথে ভাঙচুর হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলী এক সময় ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত হলে তিনিও দেশ ছেড়ে চলে যান। ২০১৫ সালের জুনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হন মুস্তাফা আনোয়ার। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যোক্তা বাহরাইন ইসলামিক ব্যাংক তাদের হাতে থাকা পুরো শেয়ার বিক্রি করে চলে যায়। ২০১৫ সালে আরেক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান দুবাই ইসলামিক ব্যাংকও সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়।  
ইবনে সিনা ট্রাস্ট
২০১৬ সালে দেশীয় ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হজরত শাহজালাল (রহ.) ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি লিমিটেড ব্যাংকটির ৩ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৫টি শেয়ার কেনে। ওই বছরই ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তাদের পক্ষে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় গ্রুপটির পক্ষে পরিচালক প্রত্যাহার করা হলে তাদের সব শেয়ার কিনে নেয় গ্র্যান্ড বিজনেস নামের চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত এটাই ছিল ব্যাংকটির মালিকানা বদলের শুরু। ওই বছরই বিভিন্ন খাতের আরও আটজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁরা ব্যাংকটি পরিচালনায় মূল ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরমাডা স্পিনিং মিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটির শেয়ার কেনে এবং সাবেক সচিব আরাস্তু খানকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এরপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যাংকটির পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে। আরাস্তু খান নতুন চেয়ারম্যান হন। তবে আরাস্তু খানও দেড় বছরের আগেই পদত্যাগ করেন গত ১৭ এপ্রিল। এরপর ব্যাংকের পর্ষদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ব্যাংকটির আরেক পরিচালক নাজমুল হাসানকে চেয়ারম্যান পদে স্থলাভিষিক্ত করে। আরমাডা স্পিনিং মিলসের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে আরাস্তু খান প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি ছিলেন। আরাস্তু খান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হওয়ার পরই ইসলামী ব্যাংকের ৮ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দেয় উদ্যোক্তা পরিচালক আইডিবি। গত বছর মে মাসে প্রতিটি শেয়ার ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দামে ২৭৪ কোটি টাকায় এসব শেয়ার কেনে বাংলাদেশের চার প্রতিষ্ঠান। আইডিবির ছেড়ে দেওয়া সিংহভাগ শেয়ার কিনেছে এক্সেল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং। এরপর গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকায় সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ইসলামী ব্যাংকের সোয়া পাঁচ শতাংশ শেয়ার ছিল। তবে এখনো কুয়েত সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান দ্য পাবলিক ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল সিকিউরিটির নামে ১০ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪১ শেয়ার রয়েছে, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ। ব্যাংকটিতে কুয়েতের তিন প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশ শেয়ার ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat