×
ব্রেকিং নিউজ :
একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন সাতক্ষীরায় বিজিবি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান চাঁদপুরে বিএসটিআই-এর অনুমোদনহীন আইসক্রিম ও দধি প্রস্তুতের দায়ে জরিমানা স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময় ২২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসি জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে: ইয়াও ওয়েন জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হলেন সুফিউর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৪-০৯
  • ৩৪৫৫৬৯৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বুধবার গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: পিআইডি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গাজীপুর সাফারি পার্কের দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র চাকরিচ্যুতি নয়, এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের গাফিলতি করার সাহস না পায়।

বুধবার গাজীপুর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়েকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন  করেন।

উপদেষ্টা জানান, সাফারি পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য। শুধু বিনোদনের নয়, বরং এই ধরনের পার্ক প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা শেখার স্থান হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, পার্কে কিছু প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুরূপ পরিবেশে থাকলেও অনেক প্রাণীর জীবনমান পর্যাপ্ত নয়। কিছু হাতি ও জাগুয়ারের আচরণগত অস্বাভাবিকতা তাকে উদ্বিগ্ন করেছে।

সাম্প্রতিক প্রাণী নিখোঁজের ঘটনায় উপদেষ্টা বলেন, একটি লেমুর হারিয়ে গেলে বুঝতে হবে ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি আছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলে আমি সিসিটিভি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিত করেছি। তদন্তে স্বচ্ছতা আনতে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, সরকারি প্রকল্প এলেই কাজ করবে এমনটা হতে পারে না। সাফারি পার্ক একটি জাতীয় সম্পদ। এর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়মিত বরাদ্দ ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। তিনি জানান, হাতিদের জন্য শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এবং ক্যাপটিভ হাতিদের কল্যাণে নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, যারা গাজীপুরে থাকেন, তাদেরই প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করার জন্য। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ, অবৈধ পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধ, ও নিখোঁজ প্রাণী উদ্ধারে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা পরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন এবং বন বিভাগের চম্পা সম্মেলন কক্ষে গাজীপুরের বন অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।

তিনি এ সময় গাজীপুর পরিবেশ ও বন সংরক্ষণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং কর্মকর্তাদের কাছে সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat