×
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ১ম ব্যাচে শতভাগ পাশ রুশ হামলার পর ইউক্রেনের খারখিভ এলাকা থেকে ৪ সহস্রা ধিক বাসিন্দা অপসারণ ফেনীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫০ জন সুনামগঞ্জে পান্ডারখাল বাঁধ নির্মাণের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৯
  • ৪৬৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
এসএসসিতে দুধ বিক্রেতার মেয়ে আছিয়ার সাফল্য
নিজস্ব প্রতিনিধি:-   “ইচ্ছা থাকলে যেমন উপায় হয়, তেমনি চেষ্টা করলে কখনও তা বিফলে যায় না” সেটাই প্রমাণ করে দেখাল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাতলাশুর গ্রামের দুধ বিক্রেতা ভূমিহীন বর্গাচাষী আব্দুস সালামের মেয়ে আছিয়া খানম। আছিয়া এবার এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার হেলেঞ্চাহাটি কুঠুরাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গ্লোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।
আছিয়ার বাবা আব্দুস সালাম জানান, তার দুইটা গাভী। প্রতিদিন ৮ কেজি দুধ দেয়। চার কেজি দুধের টাকা আছিয়ার পড়ার জন্য খরচ করেন আর বাকি চার কেজি দুধের টাকা দিয়ে গরুর খাবার কেনা হয়। আছিয়ার মা নাজমা বেগম (৪০) বলেন, আছিয়া স্কুল থেকে ফিরে আমার কাজে সহযোগিতা কর। পাশাপাশি তার বাবা বাড়িতে না থাকলে দুধেল গরু গুলোকে দেখাশোনা করে। জানা যায়, অন্যের জমিতে ১টি টিনের ঘরতুলে বসবাস করছেন ভূমিহীন এই বর্গাচাষী আব্দুস সালাম। বর্গাচাষ করে যে ফসল পান তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে তাদের। আছিয়া ছাড়াও এই বর্গাচাষীর আরো দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলো, মাসুরা খানম (১৪) ও জুবাইদা খানম (১০)। মাসুরা পাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ও জুবাইদা  চর কাতলাশুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। তাদের ভরণপোষণ এবং পড়ালেখার খরচ দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় বলে জানান আব্দুস সালাম। আছিয়ার এ সাফল্যে আবেগ আপ্লুত পিতা আব্দুস সালাম বলেন, আমি ওরে ঠিকমত ভালো খাবার ও পড়ার খরচ দিতি পারি নাই। তারপরেও ওর এ সাফল্য। আল্লাহ সহায় থাকলে তিনি তার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আছিয়াকে মানুষ করার চেষ্টা করবেন বলে জানান। এ সময় তিনি আছিয়ার পড়ালেখার খরচ মেটাতে দেশের বিত্তবানদের সহয়তাও কামনা করেন। হেলেঞ্চাহাটি কুঠুরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রসুল বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সবচেয়ে শান্ত এবং ভালো মেয়ে আছিয়া। ওর প্রতি আমার দোয়া রইল। আছিয়া বলেন, এ কৃতিত্বের দাবিদার আমার শিক্ষকবৃন্দ এবং বাবা মা। আছিয়ার ইচ্ছা সে ভবিষ্যতে ডাক্তার অথবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat