×
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ১ম ব্যাচে শতভাগ পাশ রুশ হামলার পর ইউক্রেনের খারখিভ এলাকা থেকে ৪ সহস্রা ধিক বাসিন্দা অপসারণ ফেনীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫০ জন সুনামগঞ্জে পান্ডারখাল বাঁধ নির্মাণের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেয়া শুরু : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-২৮
  • ৪৪২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদকবিরোধী অভিযানে আরও ১২ লাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি:- চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে আরও ১২ জন। এর মধ্যে বেশির র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। এছাড়া নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কয়েকজনের ক্ষেত্রে দাবি করেছে আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী।
রবিবার রাতে কুমিল্লায় দুই, পিরোজপুরে দুই, সাতক্ষীরায় দুই এবং ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, ঝিনাইদহ, পাবনা, নাটোরে একজন করে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতের সংখ্যা একশ’র কোটা ছাড়িয়েছে। আজকের ১২ জনসহ মোট মারা গেছে ১০৮ জন। পুলিশ ও র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী নিহতরা সবাই মাদক কারবারে জড়িত। তাদের সবার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকবিরোধী আইনে মামলা আছে। প্রতিটি বন্দুকযুদ্ধের কাহিনি প্রায় একই রকম। ‘মাদকের কারবারি’কে নিয়ে অভিযানে বের হলে গুলি করে তাদের সহযোগীরা। আর গোলাগুলির এক পর্যায়ে নিহত হন সন্দেহভাজন মাদকের কারবারি। কখনও কখনও পুলিশের এক-দুই জন সদস্য আহতও হন। তবে মাদক কারবারিদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির পর পুলিশ লাশ উদ্ধারের কাহিনি যুক্ত হয়েছে নতুন। কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক কারবারি নিহত কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে জেলায় ১০ মাদক কারবারি নিহত হলেন। রবিবার দিবাগত রাত ১টায় কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধে উপর এনামুল হক ভূইয়া ওরফে দোলন (৩৫) এবং রাত পৌনে ২টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় গলিয়ারায় মো. নুরু (৫৫) পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করতে সহকারী পুলিশ সুপার (দেবিদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকায় গোমতী বাঁধে অবস্থান নেয়। পরে সেখানে মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ তার সহযোগীরা পৌঁছলে তাদের আটকের চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় দোলন ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় ২৩ রাউন্ড শাটগানের গুলি চালায়। এতে মাদক ব্যবসায়ী দোলন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অভিযানের সময় থানার এসআই যুবরাজ বিশ্বাস, পুলিশ সদস্য গনেশ, মনির ও রাজ্জাক আহত হয়েছেন। ওসি জানান, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এনামুল হক ভূইয়া ওরফে দোলন পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন। অপরদিকে আরেক ঘটনায় রাত পৌনে ২টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. নুরু (৫৫) নামের এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাদকবিরোধী অভিযানকালে তার ফোর্স নিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাদক কারবারি নুরু ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালালে ঘটনাস্থলে গুলিবিব্ধ হয়ে নুরু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধারের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় থানার ওসি (তদন্ত) কমল, এসআই খাদেমুল বাহারসহ আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও পাঁচ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। ওসি আরও জানান, নিহত নুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি এবং তার বিরুদ্ধে ১১টি মাদক ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। পিরোজপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২ পিরোজপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. ওহিদুজ্জামান (৩৭) ও মিজানুর রহমান সরদার (৩৫) নামের দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। নিহত ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার কৌড়িখাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। আর নিহত মিজানুর রহমান সরদার মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের লাল মিয়া সরদারের ছেলে। ডিবি পরিদর্শক এ কে এম মিজানুল হক জানান, ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আটটি মাদক মামলা রয়েছে। গতকাল পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি মাদক মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, বন্দুকের পাঁচটি গুলি, তিনটি কার্তুজ, ধারালো দা ও ১৭৫ পিচ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, গতকাল রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদারবাড়ি এলাকায় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৫৫ পিচ ইয়াবা বড়ি ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে। সাতক্ষীরায় দুই ‘মাদক কারবারির’ লাশ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগুনপুরে এক চিংড়ি ঘেরের পাশ থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তারা মাদক কারবারি। মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের আসগর আলির ছেলে খলিলুর রহমান ওরফে পুটে সরদার (৫০) ও শহরের মধুমোল্লাডাঙ্গির এরফান কারিগরের ছেলে এমদাদুল হক (৪৮)। তবে নিহত এমদাদের ভাই মফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী অঞ্জনা খাতুন জানান, এমদাদকে সাদা পোশাকধারী কয়েক ব্যক্তি গত বুধবার রাতে তারাবির নামাজের পরপরই প্রাচীর টপকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ছাড়ানোর জন্য তারা খোঁজখবরও নেন সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। শনিবার রাত ৯টার দিকে তাদের বলা হয় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেনি। তারা থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন। এমদাদুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই বলে জানান তারা। একইভাবে লক্ষীদাড়ি গ্রামের আজগার আলী জানান, তার ছেলে পুঁটে সরদার রবিবার জজ কোর্টে মামলায় হাজিরা দিতে যান। দুপুর একটার দিকে কোর্টের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে রাতভর ডিবি পুলিশের কার্যালয় ও সদর থানায় খোঁজ নিয়েও কোনো সন্ধান মেলেনি ছেলের। সদর থানার উপপরিদর্শক প্রবীর কুমার দাসের ভাষ্য মতে, সোমবার ভোরে খবর আসে বাঁকালের পাশে আগুনপুরে আব্দুস সবুরের চিংড়ি ঘরের পাশে কাঁচা রাস্তার উপরে দুটি লাশ পড়ে রয়েছে। তিনি পুলিশের কয়েক সদস্যকে নিয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছেন। তিনি বলেন, লাশ দুটির প্রত্যেকটির গায়ে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। রূপনগরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক কারবারি নিহত রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দার (৪৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাতে মিরপুর চলন্তিকা বস্তিতে এই ঘটনা ঘটে। রূপনগর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মিরপুর বস্তিতে ডিবির একটি দল মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায়। এতে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে নজু সর্দার গুরুতর আহত হন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা  করেন। মুন্সীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুরমা গ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুমন বিশ্বাস (৩৬) নামে একজন নিহত হন। তিনি ওই এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, মিরকাদিম পৌরসভার মুড়মা এলাকায় দুই দল মাদক বিক্রেতার বন্দুকযুদ্ধ হয়। এই সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে সুমন নিহত হয়। সুমন মাদকসহ ২০ থেকে ২৫টি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।  ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের কথাও জানান পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১ ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। বাদশা ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের একটি দল গভীর রাতে অভিযানে বের হয়ে গুপ্টি ব্রিজ এলাকায় গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় আবু সাঈদ বাদশা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযানস্থলে ১১১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি হাতবোমা পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঝিনাইদহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক বিক্রেতা নিহত ঝিনাইদহে নিজেদের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ফরিদ (২৭) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার জাড়গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ফরিদ জেলা শহরের পাগলাকানাই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, রাত ২টার দিকে ওইগ্রামে গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পৌঁছে পুলিশ একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, প্রায় এক কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল ও  ছয় জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে বলে ওসি জানিয়েছেন। পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৪ মামলার আসামি নিহত পাবনার বেড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইজ্জত আলী প্রামাণিক (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচ পুলিশ সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য। পুলিশের দাবি, নিহত ইজ্জত আলী কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, রবিবার রাত একটার দিকে বেড়া থানা পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল। টহল দলটি বেড়া পৌর এলাকার তেঘরী মহল্লার একটি বাগানের সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখতে পায় একটি ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে কাঠের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাতদল। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ইজ্জত আলী নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এসআই সুব্রত কুমার বিশ্বাসসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি শাটারগান, চার রাউন্ড গুলিসহ বেশকিছু মাদকদ্রব্য। নাটোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক কারবারি নিহত নাটোরের সিংড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল খালেক (৩৬) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি ভাটোপাড়া এলাকায় (সিংড়া-টু-আত্রাই পাকা রাস্তা) বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। নিহত খালেক চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড় চৌগ্রাম গ্রামের আজাহার আলী প্রামাণিকের ছেলে। নাটোর ক্যাম্প র‌্যাব-৫ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শিবলী মোস্তফা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ১টা ২৫ মিনিটের দিকে সিংড়া উপজেলার ৮নং শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের অবস্থান রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৫ এর একটি দল। এসময় সেখানে থাকা একদল মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও সেখান থেকে তিন থেকে চারজন পালিয়ে যায়। এসময় র‌্যাবের দুইজন সদস্যও আহত হন। আহত র‌্যাব সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে  প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৮৫৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি লোহার তৈরি বিদেশি রিভালভার, দুই রাউন্ড গুলি, গুলির একটি খালি খোসা, দুটি চার্জার টর্চ লাইট, দুটি গ্যাস লাইট, পাঁচটি স্যান্ডেল, এক প্যাকেট ডার্বি সিগারেট ও নগদ এক হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নাটোরের বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালান, অপহরণসহ ২০টি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat