×
ব্রেকিং নিউজ :
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড গোপালগঞ্জে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ ভোলার ৩ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রাঙ্গামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজ নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপস ধ্বংসে হাইকোর্ট নির্দেশ ক্রেতারা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে যেন হয়রানির শিকার না হয় : রিহ্যাবকে রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬ উপজেলায় আগামীকাল ভোটগ্রহণ ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রদূত ড. মনিরুলের
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৬-২৬
  • ৪১৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাঙালির উত্থানের বর্ণাঢ্য ইতিহাস
বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণামূলক আলোচনা হলো যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মিলওয়াকিতে ‘ওয়ার্ল্ড হিস্টরী এসোসিয়েশন’র এই সম্মেলনে শতাধিক দেশের ইতিহাসবিদ এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণারতরা অংশ নেন।
গত শনিবার সমাপ্ত এ সম্মেলনে ‘বেঙ্গল, এ্যানসিয়েন্ট এ্যান্ড মডার্ন’ শীর্ষক আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম খাদেমুল হক ‘বাংলায় বাঙালি অথবা মুসলমানের আত্মপরিচয় গঠন’ নিয়ে বিস্তারিত মতামত উপস্থাপন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. আকসাদুল আলম বলেছেন, ‘বাংলায় ইসলাম ধর্ম প্রসারে ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব’ বিষয়ে। উভয়ে হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাংলার ক্রম-বিবর্তনের ইতিহাস পর্যালোচনার পাশাপাশি নিজেদের স্বাধীন একটি ভূ-খন্ড অর্জনের জন্যে দীর্ঘ সংগ্রাম লড়াই এবং আত্মত্যাগের ঘটনাবলিও বিবৃত করেন।
বাঙালি কখনো মাথানত করে থাকেনি এবং সমসাময়িক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেও তারা সিদ্ধহস্ত বলে মন্তব্য করেন ড. আকসাদুল আলম। তিনি আরও বলেন, নানা সমস্যা, সংকট এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলা সংস্কৃতি আজ আধুনিক সভ্যতার অন্যতম একটি বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। বাঙালি হৃদয়ের বাহ্যিক প্রকাশের মধ্য দিয়ে সারাবিশ্বে শান্তি বিনির্মাণে জাতিসংঘের মাধ্যমে নিরন্তরভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। আধুনিক বিশ্বে শান্তির বিকল্প নেই মর্মে বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন পাশ হচ্ছে ১৯৯৯ সাল থেকেই।
খাদেমুল হকের উপস্থাপনায় ছিল, ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত স্বাধীনতা লাভের পর তদানীন্তন পাকিস্তান গঠিত হয় ধর্মভিত্তিক একটি রাষ্ট্র হিসেবে। এবং স্বাধীনতার কয়েক মাস পরই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা পরিচয় সংকটের শঙ্কায় পড়েন।
আর এভাবেই মায়ের ভাষার জন্যে রক্তদানের ঘটনা বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গঠিত হয় পৃথক একটি আবাসভূমি-বাংলাদেশ।
এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ম্যাথিউ বাউসার। বিংশ শতাব্দিতে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ নৃত্যকলার সমৃদ্ধি প্রসঙ্গে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস ক্যাম্পাসের অধ্যাপক ড. অ্যাডোয়ার্ড রোস ডিকিনসন।
এ পর্বে এমন সব তথ্য উপস্থাপিত হয় যা উপস্থিত সকলকে বিমুগ্ধ করে। বাঙালির উত্থাপনের অজানা ইতিহাস আন্তর্জাতিক ইতিহাসবিদদের সামনে উপস্থাপনের এ ঘটনা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকেও আপ্লুত করেছে।
সম্মেলন শেষে এ কে এম খাদেমুল হক এ সংবাদদাতাকে জানান, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
গরিবের চেয়েও গরিব একটি রাষ্ট্র বিশাল একটি জনগোষ্ঠির ওপর ভরসা করে কীভাবে সভ্য সমাজের অংশে পরিণত হচ্ছে এবং দারিদ্রতার কলঙ্ক-মোচনের পথে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে বলেও আন্তর্জাতিক গবেষকরা উল্লেখ করেন। খাদেমুল বলেন, একজন বাঙালি হিসেবে এসব অনুধাবন আমাকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করছে।
খাদেমুল বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক সকল ফোরামেই বাংলাদইশদের সরব থাকা উচিত। কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি এমন জনসংযোগের অন্যতম প্রধান অবলম্বন হচ্ছে গবেষকদের বিভিন্ন সম্মেলন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat