রাশিয়ার রাস্তায় ফের চুমু খাওয়ার চেষ্টা নারী সাংবাদিককে
আন্তর্জতিক ডেস্ক:- রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী ক্রীড়া সাংবাদিক। একতেরিনবুর্গে একটি লাইভ প্রতিবেদন নিয়ে কর্মরত ছিলেন জুলিয়া গুইমারাইস নামের এই ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক। এসময় তাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তবে তিনি সরে গিয়ে, এর প্রতিবাদ জানান। খবর বিবিসি’র।
খবরে বলা হয়, কয়েকদিন আগেই বিশ্বকাপের শুরুতে কলম্বিয়ান এক নারী সাংবাদিককে হতে হয়েছিল যৌন হয়রানির শিকার। জুলিথ গঞ্জালেস থেরান নামের ওই সাংবাদিক জার্মান সংবাদ চ্যানেল ডয়েচে ভেলের হয়ে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। রাশিয়ার সসানস্ক শহরের একটি বিশ্বকাপ কাউন্টডাউন ঘড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে কথা বলার সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেন। তিনি তখন লাইভ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন।
এমন ভয়াবহ ঘটনার পরও ঘাবড়ে না গিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে নিজের বক্তব্য শেষ করেন থেরান। কিন্তু চুপ থাকেননি জুলিয়া। বরঞ্চ কাজ থামিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।
কলম্বিয়ান নারী সাংবাদিক জুলিথ গঞ্জালেস থেরানকে রাশিয়ার সসানস্ক শহরের রাস্তায় কর্মরত অবস্থায় চুমু দেন এক ব্যক্তি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার ব্রাজিলের সাংবাদিক জুলিয়া যখন একটি ম্যাচের লাইভ সম্প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় আচমকা এক রুশ যুবক জুলিয়াকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ায় চেষ্টা করেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়া সরে গিয়ে তার ক্যামেরার বুম ঘুরিয়ে দেন যুবকটির দিকে।
তার পর চালু ক্যামেরার সামনে যুবকটিকে বলতে থাকেন, এসব করবেন না। আর কখনও এমন করবেন না।
যুবকটি চুমু দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পরই ক্যামেরার ফ্রেম থেকে সরে যায়। কিন্তু জুলিয়ার কথা শোনার পর তাকে ক্ষমা চাইতে শোনা যায়। কিন্তু জুলিয়া তাতে থামেননি।
তিনি বলতে থাকেন, এমনটা আর করবেন না। আমি আপনাকে এরকম করার অনুমতি দেইনি। ঠিক আছে? এটা ভদ্র আচরণ নয়। কখনো কোন নারীর সঙ্গে এমন করবেন না। ঠিক আছে? সম্মান দিতে শিখুন।
জুলিয়া টিভি গ্লোবো ও স্পোর্টটিভি’র হয়ে কাজ করেন। এক টুইটে তিনি জানান, তিনি ব্রাজিলে থাকাকালীন অবস্থায় কখনোই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। কিন্তু রাশিয়ার বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে দুইবার এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি গ্লোবো এসপর্তে’কে বলেন, ঘটনাটি ছিল আতঙ্কজনক। তার নিজেকে অসহায়, দুর্বল মনে হচ্ছিল।
তিনি বলেন, এইবার আমি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। কিন্তু এটা দুঃখজনক যে মানুষ বোঝে না। মানুষ কেন ভাবে যে, তাদের এসব করার অধিকার আছে।