স্বাস্হ্য ডেস্ক:-ভেষজ উপাদান হিসেবে তুলসীর নামডাক অনেক আগে থেকেই। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের যত্নেও তুলসী বেশ কার্যকর। এটি শুধু চুল পড়া রোধই করে না, বরং ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা দূর হয়। চুল হয় ঝলমলে, সুন্দর ও মসৃণ। আজ জেনে নাও চুলে তুলসী ব্যবহারের পদ্ধতিটি।
- রথম ধাপ : ১৫ থেকে ২০টি তুলসী পাতা ভালো করে পানিতে ধুয়ে নাও। এগুলো রোদে ভালো করে শুকাও। শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করো।
- দ্বিতীয় ধাপ : এবার এক চা চামচ তুলসী পাতার গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে নাও। এর সঙ্গে আধা কাপ পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে সারা রাত রেখে দাও।
- তৃতীয় ধাপ : সকালে একটি কাঁটাচামচ দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে নাও। এর মধ্যে এক চা চামচ অলিভ অয়েল, পাঁচ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল ও পাঁচ ফোঁটা আমন্ড অয়েল দাও। সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে ব্লেন্ড করো।
- চতুর্থ ধাপ : চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নাও, যাতে চুলে কোনো ধরনের জট না থাকে। এক্ষেত্রে মোটা চিরুনি ব্যবহার করতে পারো।
- পঞ্চম ধাপ : চুল হালকা ভিজিয়ে নাও। এবার ছোট ছোট ভাগ করে চুলে ও মাথার ত্বকে মিশ্রণটি ভালো করে লাগাও। এক্ষেত্রে ব্রাশও ব্যবহার করতে পারো।
- ষষ্ঠ ধাপ : মাথার তালু পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করো। এবার চুল পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে নাও। একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে নাও।
- সপ্তম ধাপ : এভাবে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করো। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলো। বেশি করে কন্ডিশনার লাগাও। ভালো ফল পেতে মাসে অন্তত দুবার এই প্যাক ব্যবহার করো।
- তুলসীর উপকারীতা তুলসীতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে-যেগুলো একসঙ্গে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস হিসেবে কাজ করে। ফলে চুলের গোড়া হয় শক্ত ও চুল পড়া কমে যায়। আর এর প্রোটিন ও আয়রন মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়, যা দ্রুত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান মাথার তালুর সংক্রমণ দূর করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, এর ফলে খুশকি হয় না। অন্যদিকে এর মিনারেল ও ক্যারোটিন চুল মসৃণ করে, যার ফলে চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়।