নিজস্ব প্রতিনিধি:- ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত ও নিশ্চিতভাবে সম্পন্ন করতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঢাকা সম্মেলনে একটি বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে তিন দশক পর দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ ওআইসির নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের কোনও সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট ওআইসির ঢাকা বৈঠকে বিশেষভাবে স্থান পাবে। এ বিষয়ে সম্মেলনকালে একটি বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে। এছাড়া আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল আগামীকাল ৪ঠা মে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্প সফরে যাবেন।’
‘ইসলামিক ভ্যালু ফর সাসটেইনএবল পিস, সলিডারিটি এন্ড ডেবলেপমেন্ট’ এই প্রতিপাদ্যে আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন-সিএফএম অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও মুসলিম বিশ্বের চ্যালেঞ্জ, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ, ফিলিস্তিন সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পাবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৫৭ সদস্য বিশিষ্ট এই সংস্থার প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ প্রায় সাড়ে ৫০০’র অধিক প্রতিনিধি আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের বেশ কিছু দেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় হুমকি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম রাষ্ট্রে বাইরের হস্তক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ইসলামোফবিয়া ও মানবিক বিপর্যয়সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষে এবং একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংস্থাটির সম্মিলিত উদ্যোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওআইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বাৎসরিক সম্মেলন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছর সিএফএম-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে। গত বছর মে মাসে আইভরি কোস্টের আবিদজানে ৪৪তম সম্মেলনে ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশে ৪৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।