[vsw id="DEmfW7RV5m4" source="youtube" autoplay="yes"]
লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের জুমার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই নামাজে অংশ নেন ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার মুসল্লিরা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে জুমার নামাজ শেষ হয় ১টা ৫২ মিনিটে। এতে ইমামতি করেন দিল্লি মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দুপুর গড়াতেই ইজতেমা ময়দান অভিমুখে মুসল্লিদের ঢল নামে।
জুমার নামাজের আগে পুরো ইজতেমা ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এখানে আসা মুসল্লিদের কারও হাতে দেখা যায় নামাজের জায়নামাজ, কারও হাতে মাদুর। বয়স্কদের সঙ্গে সঙ্গে জুমায় যোগ দিতে দেখা যায় শিশুদেরও। ময়দানের মোট ১৭টি প্রবেশ পথ দিয়েই জুমায় যোগ দেন মুসল্লিরা। প্রবেশদ্বারগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ইজতেমার স্বেচ্ছাসেবকরা।
ময়দানের ৮ নম্বর গেটের পাশে দেখা যায়, মুসল্লিরা যেমন জায়নামাজ-মাদুর নিয়ে প্রবেশ করছিলেন, তেমনি কিছু মুসল্লি আশপাশের দোকানগুলো থেকে পলিথিন বা কাগজ কিনে ময়দানে প্রবেশ করছিলেন। বাইরে আবার জায়নামাজ বিক্রি করতে দেখা যায় হকারদের।
জুমার ময়দানে প্রবেশের সময় রামপুরা থেকে আগত মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ইজতেমার আখেরি জুমা এটা। অনেক বড় জামাত। একসঙ্গে লাখো মানুষ নামাজ আদায় করবে, আমিও এই সোয়াবের ভাগীদার হতে এসেছি।
জুমার নামাজ শুরু হলে পুরো এলাকার মুসল্লিরা যে যেখানে ছিলেন সেখানেই জায়নামাজ-মাদুর-কাগজ-পলিথিন বিছিয়ে অংশ নেন। মোনাজাতে অংশ নেন সর্বস্তরের জনতা।
ইজতেমা ময়দানকে ঘিরে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় ৠাব, পুলিশ, এপিবিএন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১০ হাজার সদস্য কাজ করছেন তুরাগ তীর ঘিরে।