নিজস্ব প্রতিনিধি:-কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তাজুল ইসলামের আজ ছিল বিয়ে। বর সেজে কনের বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আসবেন এমনটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তার আগেই গতকাল শনিবার চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ দিতে হলো তাঁকে।তাজুলের বাবা ফরহাদ আলীর অভিযোগ, জমিজমা সংক্রান্ত মামলা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।তাজুলের মা বুলো বেগম বলেন, ‘আজ (রোববার) আমার ছেলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
তাঁকে যারা পিটিয়ে মেরেছে তাদের বিচার চাই।’এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় শনিবার রাতেই নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন ফরহাদ আলী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতসন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন উপজেলার খুলিয়াতারী গ্রামের আবদুল আউয়াল ও মোজাহেদুল ইসলাম।মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে খুলিয়াতারী গ্রামের তাজুল ইসলামকে চোরসন্দেহে ধরে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করে ব্যাপক পিটুনি দেয় আবদুল আউয়াল ও তাঁর ৮-১০ সহযোগী। এরপর গুরুতর আহত তাজুলকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ সময় তাজুলের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দেন আউয়াল। পরে পুলিশ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তাজুলকে রাজারহাট থানা হাজতে রাখা হয়। বিকেলে আদালতে পাঠানো হলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন তাজুল। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে। ভর্তির কিছু পরই মারা যান তাজুল।