জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় ইউপি নারী সদস্যের স্বামীকে নির্যাতন
মনিরুজ্জামান লেবু,নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় এক ইউপি নারী সদস্যের স্বামীকে নির্যাতনসহ হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই ইউনিয়নের ১, ২, ৩, সংরক্ষিত নারী সদস্য মমিনা খাতুন বাদী হয়ে পাঁচ জনের নামে জলঢাকা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর/১৬ অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেন ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল। ভোটে পরাজিত হয়ে ইউপি সদস্য মমিনা খাতুনকে প্রায় সময় ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল। ৪ ফেব্র“য়ারী/১৭ রাতে ওই ইউপি সদস্যার স্বামী দবিয়ার রহমান নেকবক্ত বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে মুকুল ও তার দুই ভাই মাহাবুব ইসলাম বাবুল (৬০) ও প্রভাষক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু সহ আরও কয়েকজন অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে তাদের গোডাউনে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। রাত গভীর হলে তাকে গোডাউন থেকে বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে তিস্তা নদীর পাশ্বে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অভিযোগকারী মমিনা খাতুন জানান, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মুকুল ও ভাইয়েরা মিথ্যা ভাবে বলে বেড়াচ্ছেন আমি তার কাছে টাকা নিয়েছি। অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত সদস্য প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মুকুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে না পাওয়ায় অপর অভিয্ক্তু তার ছোট ভাই প্রভাষক মমিনুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে কথা হয়। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, “জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার ভাইকে ভোট দিবে বলে ওই ইউপি সদস্যকে ৫০ হাজার টাকা দেই। ভোট না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তিনি আরও জানান আমরা তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছি”। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, “তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।