গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের অপহৃত ৩ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের অপহৃত ৩ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার পূর্বক আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে মামলার ১ নম্বর আসামী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী গ্রামের বদিউর রহমানের পুত্র আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ঐ ৩ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফলগাছা গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র শিমুল মিয়া, ফলগাছা গ্রামের আব্দুল মাজেদের পুত্র শামীম মিয়া ও দেওডোবা গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র অন্তর মিয়া বই কেনার জন্য রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চৌধুরানী যাবার সময় হাসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী খুঁজিয়ার মোড় নামক স্থান থেকে নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে শামীম ৯ম শ্রেণীতে আর শিমুল ও অন্তর দশম শ্রেণীতে লেখা-পড়া করে। এরা সকলেই জহুরুল হক হাজী এলাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ঘটনার ৩দিন পর মঙ্গলবার শিমুলের পিতা শহিদুল ইসলাম ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি অপহরণ মামল করেন। যার সুন্দরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর- ১১, তারিখঃ ০৭-০২-২০১৭ইং। মামলাটির বর্ণনা অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই আলম বাদশা ক্সবাজারের উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ও এসআই মশিউর রহমানের সহযোগিতায় উপজেলার বালুখালী গ্রামের বদিউর রহমানের পুত্র আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ঐ ৩ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করেন।
এসাআই আলম বাদশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- শিমুলের চাচা শফিকুল একজন মাদক ব্যবসায়ী। আসামী আনোয়ার হোসেন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক দ্রব্য এনে শিমুলের চাচা শফিকুলকে পাইকারী দেয়। সেই মাদকদ্রব্যের মুল্য বাবদ শফিকুলের কাছ থেকে আসামী আনোয়ার হোসেনের সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাওনার জের ধরে ঐ ৩ স্কুল ছাত্রদেরকে উক্ত দিনক্ষণে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসযোগে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। অভিযানে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের এবং এসআই মশিউর রহমানের সহযোগিতায় মুল আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক অপহৃত ৩ স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।