নারী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন নাচক
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
নারী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন নাচক করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী দুটি আবেদন নাকচ করেন। এর আগে সানিকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড ও জামিনের
আবেদন নাকচ করে সানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ১৫ ফেব্রুয়ারি সানির জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে নারী নির্যাতনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই দিন বিচারক মামলাটিকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।এর আগে ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তাঁকে পরে ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ডে পাঠান।মামলার নথিকে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা দুজন ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার শুরু করেন। সংসার চলার সময় ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি তাঁর মায়ের পরামর্শে নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন ও গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান।নথিতে আরো উল্লেখ করা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন বাদী নাসরিন সুলতানা ভাড়া বাসাসহ যাবতীয় ভরণপোষণ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সংসার করতে স্বামী সানির সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সানি যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবি করে নাসরিনকে বলেন, ‘যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি অনেক খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইল ফোনে রয়েছে।’ এর পর বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর।’ এর পর বাদী তাঁর বাসায় চলে যান।