মেয়ে ইভাঙ্কার প্রতিক্রিয়া দেখেই হামলার নির্দেশ দিয়েলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
-সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ নিয়ন্ত্রিত শাইরাত সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার হোমস প্রদেশের ওই সেনাঘাঁটিতে হামলায় নিহত হন ছয় সেনা ও নয়জন বেসামরিক লোক। মেয়ে ইভাঙ্কার প্রতিক্রিয়া দেখেই নাকি ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্পের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি টেলিগ্রাফ। এরিক বলেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার ভয়াবহতা দেখে খুব আঘাত পান ইভাঙ্কা। ইভাঙ্কার প্রতিক্রিয়া দেখেই সিরিয়ায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। এরিক আরো বলেন, হামলার শিকার শিশুদের ছবি টিভিতে দেখেন ট্রাম্প। রাসায়নিক হামলার ফলে শরীরে জ্বালাপোড়া কমাতে ওই শিশুদের গায়ে পাইপ দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছিল। এই দৃশ্য ট্রাম্পকে ‘গভীরভাবে আঘাত’ করে। ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কার তিন সন্তান রয়েছে। বাবার ওপর নাকি ইভাঙ্কার বেশ প্রভাব আছে বলে জানান এরিক। তবে শুধু ইভাঙ্কার কথা শুনেই সিরিয়ায় আক্রমণ করেননি ট্রাম্প। অনেক চিন্তাভাবনা ও বাস্তবতা মেনেই ওই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এরিক। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৬০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ার যেসব বিমানঘাঁটি থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক নিরাপত্তার জন্যই জীবনঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করতে হবে।’এর আগে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে রাসায়নিক হামলায় ৭২ জন নিহত হয়। হামলার জন্য দেশটি প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তাঁর সহযোগী রাশিয়াকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও গোড়া থেকেই এ ধরনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সিরিয়ার আসাদ সরকার।