নিজস্ব প্রতিনিধি: –
জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিতে সহায়তা করার অভিযোগে আটক আইনজীবী আবদুস সামাদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মুহুরি বনি আমিনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আজ দুজনকে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়া আবেদন করেন ডিবির পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী। শুনানি শেষে বিচারক মুহুরি বনি আহম্মেদকে তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দিলেও আইনজীবীর রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গত শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি, দক্ষিণ)।আজ দুপুর ১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বংশাল থানার চানখারপুল এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এবং বিভিন্ন জেলার ডেপুটি জেলারদের সিলসহ ৮১টি সিল উদ্ধার করা হয়েছে। আর জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করে আনা ১৩টি মামলার কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের অন্য সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন মামলায় অর্থের বিনিময়ে মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা, অভিযোগপত্র ইত্যাদি নথি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে তা আদালতে উপস্থাপন করে দুর্ধর্ষ অপরাধী ও বড় মাদক ব্যবসায়ীদের জামিনে বের করে আনেন।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ ২০১৬ সালে পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ আসামি ফজলুল করিম ওরফে আলীকে আটক করে।এ ঘটনায় তাঁকে আসামি করে মামলা করা হয়। তাঁর জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই সময় ওই মামলায় সার্টিফায়েড প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে ১৮০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর সেই মামলার আসামি ফজলুল করিম গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।ডিবি কর্মকর্তা বাতেন আরো জানান, এভাবে ভুয়া সিল দিয়ে ভুয়া জামিননামা, ভুয়া পরোয়ানা তৈরি করে থাকে এই প্রতারকচক্রের সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।