মে দিবস আসে আর যায় কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিনিধি: –
মে দিবস আসে আর যায়, কিন্তু নারী শ্রমিকদের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। একই ধারাবাহিকতায় আগৈলঝাড়ায় নারী শ্রমিকরাও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
উপজেলার নারী শ্রমিকেরা এখন ঘর গৃহস্থলির কাজের গন্ডি পেরিয়ে হাতে হাতুড়ি, কোদাল আর কাস্তে, মাথায় ঝুঁড়ি নিয়ে অভাব অনটন ক্ষুধা আর দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যা কাজ করে চলেছেন। ইট-পাথর ভাঙা, মাটি কাটা, সিমেন্ট বালু মিশ্রণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও চা-মিষ্টির দোকানে পানি টানার মতো কঠিন পরিশ্রম করেও ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। একই অবস্থা শিশু শ্রমিকদেরও।পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের সুন্দরী দাস জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানে পানি টানার কাজ করে ৪০-৫০ টাকা পায়। তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে বেঁচে আছেন। তবে বাড়ি-ঘর না থাকায় রাতে উপজেলা পরিষদের বারান্দায় অন্য কোনো স্থানে ঘুমিয়ে রাত কাটাতে হয়। রাত পোহালেই আবার জীবন যুদ্ধ। ইট-পাথর ভাঙা মহিলা শ্রমিক কাকলী ঘরামী জানান, কন্ট্রাকটররা ইট-পাথর ভাঙার জন্য প্রতি ফুট হিসেবে টাকা দেয়। এতে প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ টাকার কাজ করা যায়। এ স্বল্প আয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় একাধিক এনজিও’তে কর্মরত নারী শ্রমিকেরা জানান, তারা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত হাঁড়ভাঙা খাটুনি খেটে ২শ টাকার বেশি রোজগার করতে পারেন না। দ্রব্যমূল বৃদ্ধির কারণে তাদের পারিশ্রমিকও বাড়ানোর দাবি করেন নারী শ্রমিকরা। বিশেষ করে মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন আলোচনা হলেও নারী শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।