বিএনপি হাওয়া ভবনের মতো আরেকটি ‘খোয়াব ভবনের’ খোয়াব দেখছে : ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি: –
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি হাওয়া ভবনের মতো আরেকটি ‘খোয়াব ভবনের’ খোয়াব দেখছে।
আজ সোমবার মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংগঠনটি।সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে দেশের নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়, আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবনের মাধ্যমে নজিরবিহীন লুটপাট করে। তারা আরেকটি হাওয়া ভবনের মতো খাওয়া ভবন তৈরি করার স্বপ্ন দেখছে এখন।’‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা বাড়ে। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারে, শ্রমজীবী মানুষের রক্ত ঝরে এ দেশের মাটিতে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের আমলে দেশের কলকারখানা, গামেন্টর্স শিল্প বৃদ্ধি পায়। শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়ে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কলকারখানা বন্ধ করে মেহনতি মানুষকে বেকার করে।বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ জন্য শ্রমিকদের অবদান বেশি, তাদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। তাই আমাদের সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে সবসময় কাজ করবে।সড়ক দুর্ঘটনার জন্য পরিবহন শ্রমিকদের অধিক পরিশ্রমকে দায়ী করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চালক তখনই বেপরোয়া হন যখন তিনি অতিরিক্ত সময় ড্রাইভিং করেন। দূরপাল্লার একটি পরিবহনে একজন চালক বিরতি ছাড়া তিন-চারটা ট্রিপ দিয়ে থাকেন। ফলে মানসিক-শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এটা কমাতে চালকদের শ্রমঘণ্টা কমিয়ে দিতে হবে।ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে এ মে দিবস। এ জন্য শ্রমিকরা রক্ত দিয়েছে। আজকে যারা মালিক তাদের অধীনে যারা শ্রমিক আছে, তাদের কর্মঘণ্টা যেন আট ঘণ্টায় বেঁধে দেওয়া হয়। যদি তা না হয়, এ মে দিবস করে লাভ কী?গৃহকর্মী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বাসাবাড়ি, কলকারখানায় দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা কাজ করছে। যেটা অমানবিক। অতিরিক্ত কাজ করাতে গিয়ে এ শিশুদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এই শিশুশ্রম আমাদের দেশে বন্ধ করতে হবে।