মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা মেলায় একই আসনের সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডাক্তার আব্দুল কাদের খাঁনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জসীট দাখিল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা মেলায় একই আসনের সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডাক্তার আব্দুল কাদের খাঁনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জসীট দাখিল করেছে পুলিশ।
জানা যায়, দীর্ঘ ৪ মাস পর গতকাল রবিবার বিকেলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সুন্দরগঞ্জ থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক- আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান গাইবান্ধার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ময়নুল হাসান ইউসুবের আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। বহুল আলোচিত এ হত্যাকা-ে দায়েরকৃত মামলায় মহাজোট সরকারের সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ডাঃ আব্দুল কাদের খাঁন ছাড়াও অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো- তার এপিএস- শামসুজ্জোহা, গাড়ি চালক- আব্দুল হান্নান, আনারুল ইসলাম ওরফে রানা, মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, এ হত্যাকা-ের অপর সমন্বয়কারী- চন্দন কুমার রায় ও তার ভগ্নিপতি সুবল চন্দ্র রায় ওরফে সুবল কসাই। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ- মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারী বগুড়া শহরের রহমান নগড় এলাকায় অবস্থিত গরীবশাহ্ ক্লিনিক সংযুক্ত বাড়ি থেকে প্রধান অভিযুক্ত কাদের খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১০ দিনের রিমা- শেষ হবার আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারী তিনি এ হত্যাকা-ে সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী দেন। এর আগে ও পরে অন্যান্য অভিযুক্তদেরকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও চন্দন কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারে জোড় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। একমাত্র চন্দন কুমার ছাড়া অন্যান্য আসামীরা জেল হাজতে আছে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)- শফিকুল ইসলাম শফিক, এ মামলায় পুলিশের আদালতে চার্জসীট দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। এ ব্যাপারে আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৩ টায় মামলাটির বাদী, নিহত এমপি লিটনের ছোট বোন- ফাহমিদা বুলবুল কাকলী মুঠোফোণে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, ৪ মাস পরে চার্জসীট দাখিল করা হলেও কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তবে তিনি দোষীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, গেল বছরের শেষ দিন (৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়) উপজেলাটির সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের মাষ্টারপাড়স্থ নিজ বাসভবনে আততায়ীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এমপি লিটন। এরপরদিন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।