নিজস্ব প্রতিনিধি: –
বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে অস্ত্রের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তোলপাড়। সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্রই বয়ে যাচ্ছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর অসহায়ত্বের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান তিন ধর্ষকের প্রতি ধিক্কারের অন্ত নেই। একইসাথে বিষয়টি নিয়ে বনানী থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য।এদিকে জঘন্য ওই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের উচ্ছুঙ্খল জীবনের নানা কাহিনীও বেরিয়ে আসছে। তার সাবেক স্ত্রীও জানিয়েছেন সাফাতের নানা কুকীর্তির কথা। এদিকে তার বাবা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী দিলদার আহমেদ ছেলের অপকর্মের পক্ষে সাফাই গেয়ে নিন্দার মুখে পড়েছেন।খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, সাফাত আহমেদ নিয়মিত মাদক সেবনে অভ্যস্ত। ঘটনার দিন সারা রাত তিনি ইয়াবা সেবন করেন। একইসাথে পৈশাচিক নির্যাতন চালান দুই তরুণীর উপর। ঘটনার পর ওই দুই তরুণীর সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হন সাফাতের সাবেক স্ত্রী এশিয়ান টিভির সাবেক পরিচালক ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।
পিয়াসার বক্তব্য- সাফাত আমার লাইফ ধ্বংস করেছে বিয়ে করে। আর ওদের দুইজনের লাইফ ধ্বংস করেছে বিয়ে না করে।পিয়াসা আরো জানান, ইয়াবা আসক্ত সাফাত ও তার বন্ধুরা বনানীর এক রেস্তোরাঁয় নিয়মিত নেশার আসর বসাতেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত সাফাতের অপকর্মের নানা কাহিনী তার স্বজনরাও জানে। অসংখ্য নারীর সাথে তার সখ্যের বিষয়টি জানে তার পরিবারের লোকজনও।তিনি জানান, বেশ কিছুদিন প্রেমের পর ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরই পরিচিত এক বড় ভাই বলেছিল, সাফাত ইয়াবা খায়। ওকে বিয়ে করা ঠিক হয়নি। বিয়ে হয়ে গেছে দেখে ওই সময় আর কথা বলিনি।পিয়াসা জানান, গত ৮ মার্চ হঠাৎ বিয়ে বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে ভারতে চলে যান সাফত। এরপর এক মাস পার হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।পিয়াসার তথ্য অনুযায়ী, এ মামলার আরেক আসামি নাইম আশরাফ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইমেকার্সে কাজ করতেন। তিনিও ইয়াবায় আসক্ত।