প্রতারক চক্র অনৈতিক কোনো অর্থ দাবি করলে তা সংশ্লিষ্টদের জানাতে অনুরোধ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: –
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা কিংবা তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্র অনৈতিক কোনো অর্থ দাবি করলে তা সংশ্লিষ্টদের জানাতে অনুরোধ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সম্প্রতি এ ব্যাপারে কমিশনের এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, অভিযোগ পেলেই এসকল প্রতারক চক্রের সদস্যদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে।প্রয়োজনে পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে। তিনি গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এবিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।
এদিকে শনিবার দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশন একাধিক সূত্র হতে অবহিত হয়েছে যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কিংবা তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক বা একাধিক প্রতারক চক্র কাল্পনিক অভিযোগ অথবা মামলার ভয় দেখিয়ে ফোনে অনৈতিক অর্থ দাবি করছে। অনেকে এসব প্রতারক চক্রের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কমিশন সম্প্রতি এ জাতীয় অভিযোগ পেয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারক চক্রের দুইজন সদস্যকে কমিশন গ্রেফতারও করেছে। ইতোপূর্বে কমিশনের পরিচালক পরিচয়দানকারী একজন ভুয়া পরিচালককে গ্রেফতার করে দুদক। এসব প্রতারক চক্রের সদস্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনার কিংবা তাদের আত্মীয়দের পরিচয়ও দিয়ে থাকেন। কমিশন এ প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী কমিশনের কোনো কর্মকর্তার একক অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা কিংবা অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান কিংবা তদন্তের মূল ভিত্তি হচ্ছে দালিলিক সাক্ষ্য প্রমাণাদি। তাছাড়া কমিশন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কিংবা তদন্ত শুরু করলে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের লিখিত পত্রের মাধ্যমে অবহিত করে। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দুদকের নিকটস্থ সমন্বিত জেলা কার্যালয়, স্থানীয় থানা, র্যাব কার্যালয় অথবা কমিশনের মনিটরিং শাখার পরিচালকের নিকট অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।