×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৪-১৭
  • ৪৮৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আইন মেনে বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল চালানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক:-তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশের ক্যাবল অপারেটরদের বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল এবং তাদের নিজস্ব চ্যানেল সম্প্রচারের জন্য দেশে বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি লাইসেন্সের শর্তাবলী অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে আজ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেলে বাাংলাদেশী বিজ্ঞাপন সম্প্রচার এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য সরকার একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ওই সময়সীমার পরে কোন অপারেটর আইন লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে বেসরকারি চ্যানেলগুলোর পৌঁছানোর জন্য কেবল অপারেটরদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, তাদেরও বিদ্যমান আইন মেনে চলা উচিৎ।’
তিনি বলেন, বিদেশী চ্যানেলগুলোতে এদেশের বিজ্ঞাপন প্রচারের কোন সুযোগ নেই এবং বিদেশী টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে ক্যাবল অপারেটররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি লাইসেন্স প্রাপ্তির ধারাবাহিকতায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ক্রমতালিকা অনুসরণ করতে কোয়াব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের অবশ্যই সম্প্রচারের ক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রমতালিকা অনুসরণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে প্রায় ৬ হাজার ক্যাবল অপারেটর রয়েছে এবং স্থানীয় ও বিদেশী চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এর আগে, মন্ত্রণালয় গত ১ এপ্রিল থেকে বিদেশী চ্যানেলগুলোতে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ করতে দেশের সব ক্যাবল অপারেটরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি নোটিশ দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, উপ-ধারা অনুযায়ী বিদেশী টিভি চ্যানেলে স্থানীয়ভাবে তৈরী বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম ডাউনলিংকের ‘অবৈধ ব্যবহার’ বন্ধের দাবি জানায়। প্ল্যাটফর্মের মতে, ডাউনলিংক ব্যবহারের এই চর্চার ফলে দেশের স্থানীয় প্রাইভেট চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গণমাধ্যম শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বিদেশী চ্যানেলে স্থানীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তারা জানায়।
সভায় তথ্য সচিব আবদুল মালেক ও কোয়াবের সদস্য ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat