×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৫-০২
  • ৫৩১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘূর্ণিঝড় শুরুর পূর্বেই সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক:-ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার পূর্বেই উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন মন্ত্রলালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল এই সিদ্ধান্ত জানান। তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সকাল ১০ টা থেকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও তাদেরকে শুকনা খাবার ও পানি দিতে হবে। ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে, এই সময়টা ক্রিটিক্যাল। উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সারা রাত বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। সেসময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে।
তিনি বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুকনা খাবার, ওষুধ, পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে ত্রাণ সচিব জানান, যেসব জেলা আক্রান্ত হতে পারে সেসব জেলায় নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের দুইশ’ টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি প্রত্যেক ডিসিকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া আছে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য আঘাতে মানুষের প্রাণহানি রোধ এবং সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার সর্বাতœক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও তেমন বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ‘ফনী’র বর্তমান অবস্থান এবং গতিবিধি দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দফতর, অধিদফতর সার্বক্ষণিক মনিটর করছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠন সমূহকেও মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat