×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৫-০৫
  • ৪৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
অসহায় বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত আইনি সেবা দেয়ার আহ্বান আইনমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক:-আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অসহায় বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত আইনি সেবা দেয়া যাবে তত বেশি সুফল পাবে। মন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যে কেউ আইনগত সহায়তা পাবে, এটা তাঁর আইনগত অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতা- এই চার মূলনীতিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন।
আজ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা : চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এজন্য ২০১৫ সালে ”আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” বিধিমালা প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারদেরকে এডিআর বা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষমতাকে আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে দেওয়ানি কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ফলে অনেক গরিব বা অসহায় মানুষ এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সত্যিকারভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্যানেল আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের আরো বেশি সংবেদনশীল হতে হবে। সরকারি স্টিকার সংবলিত মামলাসমূহ দায়ের থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত জড়িত সকল পক্ষ সর্বোচ্চ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
দেশের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণ যারা অধস্তন আদালতের কোন রায় বা আদেশে সংক্ষুব্ধ এবং উচ্চ আদালতে আপিল, রিভিশন করতে আগ্রহীদের জন্য ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মার্চ/২০১৯ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে লিগাল এইড অফিস থেকে ৭ হাজার ১৬৯ জনকে আইনি পরামর্শ সেবা এবং ২ হাজার ৪৩৭ জনকে মামলায় সহায়তা সেবা প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সেখানে একজন অতিরিক্ত জেলা জজকে পূর্ণকালীন লিগাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য পদ সৃজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৭টি সহায়ক কর্মচারীর পদ সৃজন করা হয়েছে। এসব পদে খুব শীঘ্রই লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অ্যাটোর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বেসরকারি সংস্থা - মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বক্তৃতা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat