স্পোর্ট ডেস্ক:- আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।
এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে সেমিফাইনালের পথ অনেকটা সহজ করে রাখল স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে প্রথম পাঁচ ম্যাচে কোনো জয়ের মুখ দেখতে পারেনি আফগানিস্তান। শূন্য খাতা নিয়ে তালিকায় সবার নীচে অবস্থান দলটির।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফিরেন নুর আলী জাদরান। এরপর উইকেট টিকিয়ে রেখে ধীরে চল নীতি গ্রহণ করে আফগানিস্তান। সেই নীতিতে গিয়ে অন্তত ৫০ ওভার খেলতে সক্ষম হয়েছে তারা। হাসমতউল্লাহ শাহিদী সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। এছাড়া রহমত শাহ ৪৬, আসগর আফগান ৪৪ এবং গুলবাদিন নাইব ৩৭ রান করেন। জোফ্রা আর্চার ও আদিল রাশিদ তিনটি করে এবং মার্ক উড দুটি উইকেট নেন।
এর আগে মঙ্গবার বিকেলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান করে ইংল্যান্ড। ইয়ান মরগান ১৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চলতি বিশ্বকাপে এটিই কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৪ রানে জেমস ভিন্সকে সাজঘরে পাঠায় আফগানিস্তান। তাই শুরুতেই প্রতিযোগিতার আভাস দিচ্ছিল দলটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে ১২০ রানের দারুণ জুটি গড়েন বেয়ারস্ট। শেষ পর্যন্ত ৯৯ বল থেকে ৯০ রানে বেয়ারস্ট আউট হয়ে যান।
এরপর রুটের সঙ্গী হন ইয়ান মরগান। মাঠে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটে ঝড় তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০৮ স্ট্রাইক রেটে ৭১ বল থেকে ১৪৮ রান করে আউট হন মরগান। এছাড়া জো রুট ৮২ বল থেকে করেন ৮৮ রান। মরগান মূল ভূমিকায় থাকলেও বড় স্কোরে অবদান মূলত তিন জনেরই।
আফগান বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব ও দাওলাত জাদরান।