×
ব্রেকিং নিউজ :
পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থী সোহেল মঞ্জুরের মতবিনিময় ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সচেতনতা ও দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রয়োজন : সিসিসি’র মতবিনিময় ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত বিষয়ে কর্মশালা সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে ডিসির মতবিনিময় বেরোবি’র মাধ্যমে আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর আলেম-ওলামাদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ২২ হাজার ৭০০ প্রবাসীর নিবন্ধন ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের- প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে: মৎস্য উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০১৯-০৬-২৬
  • ৪৩৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বিমসটেককে আরো কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বিমসটেককে আরো কার্যকর করার জন্য দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
রাজধানীতে বিমসটেকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ আগামী দিনগুলোতে বিমসটেককে আরো কার্যকর করে তুলবে।’
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিআইএমএসটিইসি) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। এই দেশগুলো বঙ্গোপসাগরের উপর নির্ভরশীল।
ঢাকায় বিমসটেকের গুলশানস্থ সচিবালয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা অংশ নেন।
মোমেন বলেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশ বিমসটেককে কার্যকর করার ব্যাপারে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিমসটেকের সাথে কার্যকরভাবে সমন্বয় সাধন করা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পররাষ্ট্রনীতি।’ ঢাকায় বিমসটেকের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এই নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নীতির অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যমান বিমসটেককে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হলো- ‘টেকসই উন্নয়ন’, ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা’ এবং ‘মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ’।
প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো বিমসটেককে গতিশীল করে তুলবে এবং পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংগঠনটি এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে।
মোমেন আরো বলেন, বিমসটেকে দৃশ্যমান সুফল পাওয়ার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগযোগ, শক্তি, নিরাপত্তা, কৃষি, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগকে অধিক প্রাধান্য দেয়া জরুরি।
তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সকল দেশ কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখলেই কেবল একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বঙ্গোপসাগর অঞ্চল নিশ্চিত করা সম্ভব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে মিলেমিশে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন। তাই, বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সব সময়ই আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সদা তৎপর।’
অনুষ্ঠানে বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাম্বাসেডর মো. শহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat