হুমায়ুন রাশেদ, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:- পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলার রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক বিএনপি’র নেতা-কর্মী ৮ আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেছে।
আজ (রোববার) দুপুর পৌনে একটার দিকে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রোস্তম আলীর আদালতে তারা আত্মসমর্পন করেন।
আত্মসমর্পনকৃত আসামীরা হলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ রবি ও মোঃ জয়েনউদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম্যান। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেন, মোঃ জামাত আলীর ছেলে চাদ আলী, মোঃ মহসীন রিয়াজির ছেলে রনো, মোঃ মতিয়ার রহমান সরদারের হুমায়ন কবির দুলাল, মোঃ জালাল গার্ডের ছেলে মামুৃন ও মোঃ আছির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম। এদিকে পুর্বের একটি অলাদা মামলায় জেল হাজতে আটক মৃত ফিয়ার আলীর ছেলে আজাদ আলী খোকন আইনজীবির মাধ্যমে এ মামলায় আত্মসমর্পন করেন। আদালত এর বিচারক রোস্তম আলী আত্মসমর্পনকারীদের জেল হাজতে প্রেরন করেন এবং সাজা কার্যকরের নির্দেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য গত ৩জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রোস্তম আলী ২৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ মামলার রায়ে ৯জনকে ফাঁসি ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা, ২৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ৩লাখ টাকা করে জরিমানা ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
রায় ঘোষনার সময় মোট ৫২জন আসামীর মধ্যে ৩৪ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আলী আজগর, খোকন, তুহিন, আলমগীর ও ওসিয়া বিভিন্ন সময় মারা যায়। আজ ৮জন আসামী আত্মসমর্পন করলেন। এ সময় আসামী পক্ষের আইনজীবি নুর ইসলাম গেদাসহ ১০/১৫ আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত ট্রেন ও শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়। ওইদিনই ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনের ৩ এবং ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩, তাং-২৩-০৯-১৯৯৪।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৫আসামী পলাতক রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি রয়েছে।