×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১১
  • ৩৫০১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি  :  নড়াইলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু চলাচল করছে হাজারো মানুষ। দুই বছর ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে নড়াইলের লাহুড়িয়ার ঝামারঘোপ খালের উপর নির্মিত সেতুটি। নড়াইল-মাগুরা দুই জেলার সীমানায় গুরুত্বপূর্ন এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিনই আতঙ্ক আর ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার মধ্যেই চলছে কৃষকের জমির ধান নেয়া, শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে বিদ্যালয়ে। যে কোন সময় ভেঙ্গে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা। কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে সেতুর একপ্রান্তে অর্ধেক জায়গা জুড়ে ধ্বসে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে পুরো জায়গায় গর্ত হয়ে ভিতরের রড বের হয়ে পড়ে। দুই বছর আগে একটি ট্রাক চলতে গিয়ে হেলে পড়ে সেতুটি। এরপর স্থানীয় লোকেরা গর্ত হওয়া স্থানে কয়েকটি কাঠের বড় তক্তা দিয়ে ইজিবাইক, ভ্যান আর কৃষিপন্য ঘোড়ার গাড়িতে পারাপার করছেন। নসিমন আর ভটভটি চললে কাপতে খাকে সেতুটি,তবুও বাধ্য হয়েই চলছে পারাপার।

সেতুর তলদেশের অবস্থা আরো করুন। ইটের উপর দাড়িয়ে থাকা সেতুর নীচের দুটো গার্ডার এর একটি ধ্বসে একদিকে হেলে পড়েছে। পিলারের ইটগুলো খুলে সেখানে পাখির বাসা তৈরী হয়ে তাও খসে পড়ছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঝামারঘোপ খালের উপর নির্মিত হয় ১৩ মিটার দৈর্ঘের ছোট্ট এই সেতুটি। স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ঝুকিপূর্ন সেতুটি ঘুরে দেখেছেন, ছবি তুলে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন।

খলিশাখালি গ্রামে ব্যবসায়ী আকবর মৃধা বলেন, এই ব্রীজ ভাঙ্গা থাকার কারনে আমাদের মিঠাপুর হাটে যেতে গেলে ৮ কিলোমিটার নোহাটা ঘুরে মিঠাপুর হাটে যেতে হয়। আমাদের এই দূর্দশা কেউ দেখে না।

স্থানীয় কৃষক রহমত আলী বলেন, এপাশের জমির ধান কেটে ঘোড়ারগাড়ি করে বাড়িতে নিতে হয়। প্রতিদিন ই ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটে। ভয়লাগে কখন জানি ব্রীজ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাই, তবুও যেতে হয়।

স্থানীয় যুবক ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরাই চলাচলের জন্য কাঠ দিয়েছি।
ঝামারঘোপ গ্রামের খলিশাখালী প্রাইমারী স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র বিল্টু দাস বলেন, আমরা ভয়ে ভয়ে ব্রীজ পার হয়ে স্কুলে যাই,অনেক সময় ভ্যান যেতে চায় না তাই হেটেও যেতে হয়।
লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় আছে। আমরা বিষয়টি সকলকে জানিয়েছি।

লোহাগড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসীম বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলাম কিন্ত চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের চাহিদায় ধান মৌসুম পর্যন্ত রাখা হবে। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat