×
ব্রেকিং নিউজ :
দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ৬৪ জেলার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী জেলহাজতে কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন রাঙ্গামাটিতে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-২৭
  • ৪৫৩৭৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর অন্যতম বড় উপলক্ষ হচ্ছে ঈদ। এছাড়াও, ঈদের ছুটিতে কর্মজীবী মা-বাবারা তাদের সন্তানদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পান।

লম্বা ছুটিতে সন্তানদের সাথে মা-বাবারা বিভিন্নভাবে সময় কাটাতে পারেন। যেমন: এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়া কিংবা কোথায় ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘ সময়ের জন্য শিশুদের বাইরে ঘুরতে বা খেলতে নিয়ে যাওয়া হিতে বিপরীত হতে পারে। এক্ষেত্রে, মা-বাবারা বাসাতেই সন্তানদের সাথে সময় কাটাতে পারেন। আর বাসাতে সময় কাটানোর অন্যতম এক উপলক্ষ হচ্ছে একসাথে টিভি দেখা। এতে করে যেমন আনন্দে সময় কাটানো যাবে এবং একইসাথে বাচ্চারা শিখতেও পারবে অনেক কিছু।

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ ও প্যারিস নতেরে ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মা-বাবা বা অভিভাবকরা যদি শিশুদের সাথে বসে একসাথে স্ক্রিনে কোনো কিছু দেখেন তবে তা শিশুদের মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা অনেক প্রশ্ন করার ও জানার সুযোগ পায়। পাশপাশি, এতে করে তাদের ধারনার জগতের বিকাশ (কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট) ঘটে। যেমন: তারা তাদের আশপাশকে চিনতে ও বুঝতে শুরু করে এবং নিজেরাই ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে শিখে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বন্যপ্রাণি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে কোনো ভিডিও বা তথ্যচিত্র শিশুদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলবে, তাদের মনে নানা জিজ্ঞাসার উদয় হবে। ফোরকে বা এইটকে টেলিভিশনের ঝকঝকে ছবি তাদের জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে। যেমন বলা যেতে পারে, ‘শার্ক উইথ স্টিভ ব্যাকশাল’র কথা।  এ শো’তে স্টিভ গভীর সমুদ্রে গিয়ে হাঙ্গরের মুখোমুখি হয়। শো’তে দেখা যায় সমুদ্রের নিচের প্রাণিজগৎ সম্পর্কে জানতে এবং পানির নিচের জগৎ সংরক্ষণে উপায় অনুসন্ধানে স্টিভ গ্রীষ্মমন্ডলীয় উপকূলরেখা থেকে সমুদ্রের আরও গভীরে যাত্রা করেন। ফোরকে টেলিভিশনে স্টিভের এ পুরো যাত্রা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত মনে হবে এবং শিশুদের পানির নিচের দুনিয়া সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে; তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে  এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে।

চাইল্ড মাইন্ড ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, শিশুরা যদি তাদের মা-বাবাদের সাথে বসে একসাথে টিভি দেখে, এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যোগাযোগে নতুন ধরন তৈরি হয়; পাশাপাশি, টিভি দেখার সময় মা-বাবা সন্তানদের ওই বিষয় সম্পর্কে বুঝিয়ে বলতে পারেন, সহজ ভাষায় তাদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন – যা শিশুদের ওই বিষয় বুঝতে এবং এর মাধ্যমে নতুন জিনিস শিখতে উদ্বুদ্ধ করবে। 

কিছু মুভি ও টিভি শো’র মাধ্যমে শিশুরা নানা দেশ, সংস্কৃতি ও জায়গা সম্পর্কে জানতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের অন্য দেশ কেমন, সেখানে মানুষ কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য – এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। আবার টেলিভিশনের মাধ্যমে শিশুদের খেলার প্রতিও আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব। যেমন খেলা বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন খেলা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বড় বড় টুর্নামেন্ট সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি পাবে। বড় স্ক্রিন ও শক্তিশালী সাউন্ড সিস্টেম তাদের খেলা দেখার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে – এর মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার বিষয়ে তাদের আগ্রহ বাড়বে। খেলা বা খেলা নিয়ে কোনো শো দেখার সময় মা-বাবারা শিশুদের সাথে ওই নির্দিষ্ট খেলা ও খেলোয়ার নিয়ে মজার বিভিন্ন তথ্য বলতে পারেন। 

তথ্যচিত্র, মুভি, অ্যানিমেশন ও টিভি শো ফোরকে বা এইটকে টেলিভিশনের স্ক্রিনে দেখতে আরও বেশি প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হবে। এক্ষেত্রে, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসে স্বনামধন্য ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্যান্ড স্যামসাং -এ রয়েছে নানা মডেল ও ফিচারের টেলিভিশন। তাদের টিভির বিভিন্ন মডেলের কিউএলইডি ও ইউএইচডি ফোরকে টিভি এইচডি কনটেন্ট উপভোগকে করবে আরও আকর্ষণীয়; পাশাপাশি এস.ডি বা এইচ.ডি ভিডিও কিংবা ডিস চ্যানেলের ভিডিওকে  ফোর কে রেজ্যুলেশনের কাছাকাছি মানে উন্নীত করে । এছাড়াও তাদের টিভির নতুন সংস্করণ কোয়ান্টাম ম্যাট্রিক্স টেকনোলজি প্রো’র নিও কিউএলইডি এইটকে টেলিভিশন, যা টিভিতে কনটেন্ট উপভোগে দিবে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা – স্পষ্ট দেখা যাবে সব ডিটেইল। সাধারণ কোয়ান্টাম ম্যাট্রিক্স টেকনোলজির তুলনায় একদম কালো কিংবা সম্পূর্ণ সাদা স্ক্রিনে থাকবে দেড় গুণ বেশি লাইটিং জোন।

হাই-ডেফিনিশন টিভিতে বাচ্চাদের উপযোগী কনটেন্ট তাদের জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি ও বিকাশে বিকাশে যেমন সহায়ক ভূমিকা রাখবে, তেমনি সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়েও তাদের সচেতন করে তুলবে। আবার একইসাথে, উপভোগ্য কনটেন্ট একসাথে বসে দেখার মাধ্যমে মা-বাবারাও তাদের সন্তানদের সাথে উপভোগ্য সময় কাটাতে পারবেন। তবে, মা-বাবা ও অভিভাবকদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, শিশুরা যেনো অতিরিক্ত সময় টিভি দেখে অতিবাহিত না করে এবং তারা যেনো খেলাধুলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat