×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৯-২১
  • ৭১৩০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
দারিদ্র্যতাকে জয় করে সফল উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখেছেন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া ফকিরপাড়া গ্রামে বসবাস করা ছানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট একটা গুমটি ঘরের ব্যবসা এখন বাড়ির পাশে মুনঝার বাজারে সুইট ট্রেডার্স নামে এক বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি।এখন ছানোয়ার হোসেনের বয়স ৩৯। ছোট বয়সে (৬/৭ মাস) পিতা আবদুস সামাদ মন্ডল মারা গেলে সংসার নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া। বিধবা মায়ের সংসারে দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছানোয়ার হোসেন ছোট। ছানোয়ার হোসেন অনেক কষ্টে ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করলেও টাকা পয়সা অভাবে আর বেশিদূর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। সাহস এবং দারিদ্র্যতাকে জয় করার অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে বাড়ির পাশে একটি গুমটি ঘরের মধ্যে ব্যবসা শুরু করেন অল্প পুঁজিতে। এখানকার আয় দিয়ে পাওয়ার টিলার কিনে অন্যের জমি চাষ শুরু করেন। তার পরে ধান মাড়াই মেশিন কিনে গ্রামের লোকজনের ধান মাড়াই শুরু করেন । পাশাপাশি বাড়িতে গরু লালন-পালন শুরু করেন। এখান কার আয় থেকে দু’এক বস্তা সার ও কীটনাশক বিক্রি শুরু করেন। এভাবে ভাগ্য খুলতে শুরু করে ছানোয়ার হোসেনের। আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে এক সময় নিজের ভগ্নিপতি, মামা সকলেই ছেড়ে চলে গেলেও পরবর্তীতে আর্থিক অবস্থা ভালো হলে সকলেই আবার কাছে আসে এটাই তার আনন্দ। এলাকায় এখন সফল উদ্যেক্তার নাম হচ্ছে ছানোয়ার হোসেন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা। কাজী ফার্মের জৈব সার, প্যারাগনের জৈব সার, বিসিক শিল্পনগরীতে বাপকো নামে কোম্পানি কন্ট্রাক নিয়ে মালামাল বেচা-বিক্রি শুরু করেন। মুনঝার বাজারে প্রথমে দু’শতাংশ জমি কিনলেও পরে ১০ শতাংশ জমি কিনে ব্যবসা করছেন। সার ও কীটনাশকের দোকান করেন সেখানে খুচরা ও পাইকারী মালামাল বিক্রি করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি গরুর খামার গড়ে তোলেন। সেখানে ১২ টি গরু রয়েছে। জৈব সারের কারখানা দিয়েছেন " অনিক জৈব সার" নাম দেয়া হয়েছে। বিসিকে কীটনাশক তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন " সূর্য ক্রপ কেয়ার " নামে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসার আয় থেকে উচ্চমূল্যের প্রায় ৫ বিঘা জমিও কিনেছেন বলে জানান ছানোয়ার হোসেন ।
২০১৪ সালে বিয়ে করেন হোমায়রা আক্তার সুমিকে। চার বছরের অনিক নামে একমাত্র ছেলে। স্ত্রী ও ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করেন। বর্তমান মুলধনের পরিমান প্রায় ৩ কোটি টাকা হবে বলে জানান তিনি।
তার সফলতা দেখে উদ্যেক্তা হয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যবসা করছেন আবু হাসান মোশারফ হোসেন ও শামীম হোসেন তারাও সার কীটনাশক ব্যবসা করছেন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ক্ষেতলাল শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবদুল মালেক জানান, ছানোয়ারের ব্যাংকের লেনদেনে আমরা খুশি তাই ৩০ লাখ টাকা ঋণ আবেদন করলেও লেনদেন ভালো ও ব্যবসার পরিধি বিবেচনায় ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে দুই শতাধিক গ্রাহকেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলায় মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। তারমধ্যে ব্যাংকের সহায়তায় দু’শতাধিক গ্রাহক সফল উদ্যেক্তা হয়েছেন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক জয়পুরহাটের জোনাল ম্যানেজার শাকিল মাহমুদ জানান, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ ও শস্য উৎপাদন খাতে জেলায় ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২৬ হাজার মোট গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার সফল উদ্যেক্ত রয়েছে। যারা আর্থিক ভাবে সফলতা অর্জন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat