লেখকঃ সাংবাদিক শাহ্ মোঃ দিদার হোসাইন পীরসাব,প্রকাশক/সম্পাদক,সি এন আই ২৪ডটকম লিঃ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সুশীল সমাজ মূলত একটা ইউটোপিয়ান ধারণা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যদিও সুশীল সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময়; কিন্তু আমাদের এই অঞ্চলে ‘সুশীল সমাজ’ সবচেয়ে অকার্যকর এবং চরমভাবে হাস্য-রসের উপাদান। এই সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজের কর্মকাণ্ডে দেশের সাধারণ শিক্ষিত মানুষ এতোটাই বিরক্ত ও বিব্রত যে, তারা ‘সুশীল’র অর্থই করে নিয়েছে ‘সু-শীল’। রম্য-ব্যঙ্গ আর কৌতুকচ্ছলে তারা বলছেন, ‘স’ অর্থ ভালো আর ‘শীল’ অর্থ নাপিত। ফলে, সুশীল অর্থ ‘ভালো নাপিত’। আঞ্চলিক বাংলায় অকারণ পাণ্ডিত্য আর অতিচাটুকারদের আচরণকে বলে ‘নাইপতালি’ সেই থেকে ব্লগ যুগে এই সুশীল সমাজের আচরণ ও সক্রিয়তাকে ‘ভালো নাপিত’ বা ‘নাইপতালি’ বলে ট্রল করা হতো।
বাংলাদেশের নেটিজেনরা ব্লগ যুগ পেরিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে প্রবেশ করে ভার্চুয়াল নাগরিক হয়ে গেছে। কিন্তু সুশীল সমাজের তেমন কোন উন্নতি, সক্রিয়তা অথবা প্রভাব আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। যদিও সুশীল সমাজের কাজ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এবং সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে জনগণকে সহায়তা করা। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচণের জন্য কাজ করা।
একটা যথার্থ সিভিল সোসাইটি রাষ্ট্রে আইনের শাসন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনিক জবাবদিহিতার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ ও সরকারের মধ্যকার সম্পর্ককে সুন্দর, যৌক্তিক ও কল্যাণকর করে দেয়। সুশীল সমাজ নিজেরা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বাধ্য করে। রাষ্ট্রে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তৈরি হওয়া জাতিগত, দলগত, পেশাগত এবং যেকোনো বিরোধ নিরসনে কাজ করে নিরপেক্ষভাবে। একটা উন্নয়নশীল দেশে নানাবিধ সংকট ও সমস্যা নিয়মিত চলতে থাকে সুশীল সমাজ সেইসব সংকট ও সমস্যার সামাধানের জন্য নিয়মিত ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
একটা দেশের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির বেড়াজালে আটকালে সরকার, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা ক্রমশ অথর্ব ও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে দেশকে ফোকলা করে দেয়। ফলে এইসব দুর্নীতি তথা ঘুষ, টেন্ডারবাজিসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ ও অপচয় রোধে সুশীল সমাজের ভূমিকা থাকে উজ্জ্বল। দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীনদের জন্য এরা এক আতঙ্কের নাম হয়ে থাকার কথা। সেই সঙ্গে জনগণকে গণতান্ত্রিক ও সাম্যের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে একটি কার্যকর রাষ্ট্র ও সক্রিয় সরকার গঠণের নেপথ্যে থাকবে এই সুশীল সমাজ। সুশীল সমাজের মূলনীতি হবে দেশ ও জনগণের পক্ষপাত করা। দলনিরপেক্ষ সক্রিয়তায় তারা জনগণের আস্থাভাজন ও আপনজন হয়ে প্রভাবিত করবে জনগণের মতামতকে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এইযে সুশীল সমাজের এতো ব্যাপক কাজ সেই সুশীল সমাজ আসলে কারা? কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, দল, সংস্থা নাকি সাধারণের মধ্যে অসাধারণ হয়ে উঠা কিছু মানুষ? তাহলে আরও বিস্তারিত বলার আগে চেষ্টা করি তাঁদেরকে একটু চিনে নিতে।
সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজ কারা?
উইকিপিডিয়ার মতে, Generally, civil society has been referred to as a political association governing social conflict through the imposition of rules that restrain citizens from harming one another. In the classical period, the concept was used as a synonym for the good society, and seen as indistinguishable from the state.
অর্থাৎ, “সাধারণত, সুশীল সমাজ বলতে বোঝায় একটি রাজনৈতিক সংঘকে। যা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নাগরিকদের পারস্পরিক ক্ষতি সাধন ও সামাজিক সংঘাত থেকে থেকে বিরত রাখে। প্রাচীন কালে এই ধারণাটি কল্যাণ সমাজের প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হতো; যা রাষ্ট্রের অভিভাজ্য অংশ।”
অন্যভাবে বলা যায়, “সুশীল সমাজ হলো একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যার সদস্যরা সরকারের কাছ থেকে নাগরিক অধিকার অর্জনের জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে একত্রিত হয়। সুশীল সমাজ ব্যক্তি ও সরকারের মধ্যে একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। সুশীল সমাজ কখনও কখনও সরকার ও জনগণের মধ্যকার দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
ওয়ার্লড ব্যাংকের মতে, Civil society … refers to a wide array of organizations: community groups, non-governmental organizations [NGOs], labour unions, indigenous groups, charitable organizations, faith-based organizations, professional associations, and foundations.
অর্থাৎ, “সিভিল সোসাইটি বলতে, নানাবিধ সংগঠন, সম্প্রদায়গত দল, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), শ্রমিক ইউনিয়ন, আদিবাসী গোষ্ঠী, দাতব্য সংস্থা, ধর্মভিত্তিক সংগঠন, পেশাদার সমিতি এবং বিভিন্ন ধরণের ফাউন্ডেশনকে বোঝায়।”
সুশীল সমাজের বৈশিষ্ট্য :
এরা রাষ্ট্রকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে টিকিয়ে রাখতে গণতান্ত্রিক সরকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে সক্রিয় থাকবে। চারটি মৌলিক উপাদান নিয়ে সুশীল সমাজের অস্তিত্ব : ১. বহুত্ববাদ বা বহুদলীয় গণতন্ত্র কিংবা উদার গণতন্ত্র, ২. জনমত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা, ৩. রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ও ৪. সর্বক্ষেত্রে বৈধতা নিশ্চিত করা।
এরা কখনোই সরকার, দল, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পারবে না। সরকার ও রাজনৈতিক দল থেকে কোনো সুবিধা নিতে পারবে না। নাগরিক ও সরকারের মধ্যকার সেতুবন্ধনের কাজ করবে। সরকারের ভুল, অপকর্ম, নিপীড়নমূলক আইন ও দমনমূলক কাজের বিরোধিতা এবং সরকারের ভুল ও অপরিণামদর্শী নীতির সমালোচনা করে সরকারকে গণতান্ত্রিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করবে।
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় সুশীল সমাজ :
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিজন সচেতন নাগরিকই সুশীল সমাজ। আলেম, চিন্তক ও দার্শনিকগণ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। সমাজের যে কোনো সাধারণ নাগরিক খলিফাকে পরামর্শ দিতে পারেন এবং জবাবদিহিতা চাইতে পারেন। খলিফা উমর রা. যখন বায়তুল মাল থেকে প্রাপ্ত কাপড়ের জামা পরে জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন তখন একজন নাগরিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, আমরা তো প্রাপ্ত কাপড় দিয়ে জামা বানাতে পারিনি। আপনি পারলেন কেমন করে! খলিফা তখন জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমার সন্তানের কাপড়টি আমাকে দেওয়ায় আমার জামা হয়েছে।’ ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিজন নাগরিকই মৌলিকভাবে সিভিল সোসাইটি।
যদিও আরবিতে এই সুশীল সমাজকে জাম-ই-মাদীনা বা আলইজতিমাইয়্যাতুল মাদানিয়্যাহ বলা হয়ে থাকে। আরবিতে সুশীল সমাজের সংজ্ঞায় বলা হয় :
أن المجتمع المدني هو المجتمع الذي يقوم على المؤسسات السياسية والاقتصادية والاجتماعية والثقافية التي تعمل في ميادينها المختلفة في استقلال نسبي عن سلطة الدولة لتحقيق أغراض متعددة
“নাগরিক সমাজ এমন একটি সমাজ যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে। যেগুলো নানাবিধ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে স্বাধীনভাবে নাগরিক-অধিকার নিয়ে কাজ করে।”
সুতরাং সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সুশীল সমাজ একটি সরকারের ভেতর আরেকটি অঘোষিত সরকার। যারা নাগরিক সুবিধা, বাক-স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুর অধিকার, সামাজিক সদাচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে সরকারের সঙ্গে স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশের সুশীল সমাজ :
লেখার শুরুতেই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতি সাধারণ নাগরিকদের মনোভাব কী বলেছিলাম। আমরা দেখি এই দেশের সুশীল সমাজ স্থূলভাবে পক্ষপাতদোষে দুষ্ট। এরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে। দলগত পরিচয় না থাকলেও নির্দিষ্ট দলের প্রতি কমিটেড থাকে। এদেশের সুশীল সমাজ ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, কমিউনিটি এবং ইসলাম প্রশ্নে সবসময়ই নির্দিষ্ট এজেন্ডা অথবা পক্ষের হয়ে সরব থাকেন। কখনও কখনও তিলকে তাল বানিয়ে ‘হায় হায়’ ‘গেল গেল’ বলে সরব হয়ে উঠেন। আবার কখনও তালকে তিলটা না ভেবেও উট পাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে নিরব হয়ে যান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুশীল সমাজ কোনোভাবেই দেশ-জনতার জন্য কল্যাণকর নয়। বরং এরা দলবাজি আর তেলবাজিতে সদা সক্রিয়। ফলে একটা উন্নয়নমুখী দেশ ক্রমশ দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে। যেখানে প্রতি পণ্যের দাম কল্পনার বাইরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাকার মান তাসের ঘরের মতো নেমে আসছে। ব্যাংকগুলো হাঁসফাস করছে। আর কথা বলার স্বাধীনতা তো নেই-ই। তবুও সুশীল সমাজ নীরব, জড়, প্রতিক্রিয়াহীন ও সুবিধাবাদী আচরণে নিমগ্ন।
জাতিসংঘ ও সুশীল সমাজ :
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে একটা বৈশ্বিক নাগরিক সমাজের কল্পনা যদি আমরা করি দেখব যে, তারাও বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের মতোই আচরণ করছেন। তবে পার্থক্য হচ্ছে ক্ষমতাসীন দেশ আর ক্ষমতাহীন দেশ এবং মুসলিম দেশ ও অমুসলিম দেশ—এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘকেন্দ্রিক সুশীলেরা দ্বৈত আচরণ করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
পূর্ব তিমুর যখন গণ ভোট চাইল জাতিসংঘের সুশীলেরা দ্রুত গণভোট দিয়ে পূর্ব তিমুরকে স্বাধীনতা এনে দিল। অপরদিকে আরাকান ও কাশ্মীর প্রশ্নে জাতিসংঘের সুসীলরা বধীর হয়ে থাকেন। যেনো বা তারা কিছুই দেখছেন না।
এরা ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে, পাখি নিয়ে, পশু নিয়ে গভীর আঁতেলের মতো ভারী ভারী বাণী ছাড়বে। কিন্তু মানুষের প্রশ্নে তারা বোবা হয়ে যাবে।
বৈশ্বিক সুশীলতা ও মুসলিম জনপদ :
সাম্প্রতিক হামাসের ইজরাইল আক্রমণের পর বৈশ্বিক সুশীল সমাজ আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠলেন। বাণী দিলেন : ইজরাঈলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এরপর গাজায় যা ঘটছে তা আইয়্যামে জাহেলিয়াকেও হার মানায়। অথচ পঁচাত্তর বছর ধরে একটা জাতিকে ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ করে দিতে ইজরাইল এমন কোনো অন্যায় নেই যা করেনি। ভূমি দখল করেছে। মুসলমানদের উদ্বাস্তু করেছে। নারী-শিশুকে হত্যা করেছে। বাড়ি-ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিটা ঘরে শহীদের ইতিহাস লিখেছে। প্রতিজন মা শহীদের মা হয়েছেন। যুবকেরা বৃদ্ধ হওয়ার আগেই বুলেটের শিকার হয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীর এইসব সুশীল মোড়লেরা কোনোদিন টু শব্দটি করেনি। বরং নানাভাবে ইজরাইলকে শক্তিশালী করেছে। আজকে যখন সর্বাহারারা জেগে উঠতে চাইছে তখনই বৈশ্বিক সুশীলেরা জেগে উঠেছে।
সুইজারল্যান্ডে যখন কুরআন পুড়ানো হয়, ফ্রান্সে যখন নবীজীকে অপমান করা হয়, হিজাব নিষিদ্ধ হয়, ভারতে যখন গরুর গোশত ব্যাগে আছে সন্দেহে মেরে ফেলা হয়, জয় শ্রীরাম না বললে গণপিটুনিতে খুন করা হয়, বাংলাদেশে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (যা মুসলিমদের জমির উপর মুসলিমদের জন্য প্রতাষ্ঠিত) প্রতিষ্ঠানে হিজাবের বিরুদ্ধে শিক্ষকেরা আইন জারি করে; তখন কোনো দৈশিক সুশীল অথবা বৈশ্বিক সুশীল এইসব দেখতে ও শুনতে পায় না।
কিন্তু যখনই কোনো মুসলিম স্কলার অন্য ধর্মের অসাড়তা নিয়ে আলাপ করেন অথবা বক্তব্য দেন; সকল সুশীল একসঙ্গে জেগে উঠে। এই সুশীলেরা আযানের শব্দে, ওয়াজের শব্দে শব্দ দূষণ খুঁজে পায়। ট্রাকের হাইড্রোলিক হর্নে, কনসার্টের বক্সের সাউন্ডে, কিংবা পূজার টানা তিনদিনের সাউন্ডে কোনোরূপ শব্দদূষণ খুঁজে পায় না।
পুরো পৃথিবী জুড়েই ধার্মিক মুসলমানগণের জন্য কোনো সুশীল সমাজ সরব হয় না। ফলে কোথাও কোথাও নিজস্ব ইনসাফ থাকলেও ব্যাপকার্থে পৃথিবী একটা জুলুমের অভয়ারণ্য। এখানে ক্ষমতা ও ক্ষমতার তল্পীবাহকেরাই শেষ পর্যন্ত সুশীলতার অভিনয় করে।
বাংলাদেশ যদি একটা সত্যিকারের সফল রাষ্ট্র, সোনার দেশ, প্রভাশালী বৈশ্বিক মানচিত্র হতে চায় তাহলে এর সুশীল সমাজকে নিরপেক্ষ ও ইনসাফের পক্ষে সরব হতে হবে। দলীয় ও ব্যক্তিগত আদর্শের চেয়ে নাগরিক অধিকার ও ন্যায়-ইনসাফের পক্ষে সক্রিয় হতে হবে সিভিল সোসাইটিকে। আর সিলেক্টিভ এক্টিভিটি দিয়ে দেশ ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব হবে না। হতে পারে অল্পকিছু দলান্ধ অপবুদ্ধিজীবী ও সুশীল নামের কুশীলদের ব্যক্তিগত উন্নতি।
বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সংজ্ঞার সুশীল সমাজ হয়ে উঠবে এই প্রত্যাশা।
লেখকঃ সাংবাদিক শাহ্ মোঃ দিদার হোসাইন পীরসাব
প্রকাশক/সম্পাদক
সি এন আই ২৪ডটকম লিঃ