- প্রকাশিত : ২০১৯-০১-০৩
- ৪৪৪ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে যাত্রীকে হত্যা
নিউজ ডেস্ক:– ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুকুল (৩০) নামে এক শ্রমিককে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪/৫ জন যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বাসুটিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মুকুল গাইবান্ধা সদর উপজেলার ওজুদধরনিবাড়ি গ্রামের রেজাউর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী। শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকায় কাজ করতেন।
মুকুলের সাথে থাকা যাত্রী ও গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মুকুল ও তার দুই সহকর্মী বুধবার ভোরে গাইবান্ধায় নিজ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বলাকা ট্রেন যোগে সাতখামাইর স্টেশন থেকে কাওরাইদ স্টেশনে আসে। কাওরাইদ স্টেশনে নেমে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের টিকিট কেটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেনটি মশাখালী স্টেশন ছাড়ার পরপরই ৭/৮ জনের একদল ছিনতাইকারী ট্রেনের ছাদে ভ্রমণরত যাত্রীদের পিস্তল ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা বাধা দিতে চাইলে পিস্তলের বাট দিয়ে দিয়ে আঘাত করে ও কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। মুকুল তার সাথে টাকা-পয়সা দিতে অস্বীকার করলে মুকুলের গলায় ছুরি ধরে, গলা টিপে তাকে খুন করতে চায় ছিনতাইকারী দল। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুকুলের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে মুকুলকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। ৫/৬ মিনিট পর ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছলে ছিনতাইকারীদল নির্বিঘ্নে ট্রেন থেকে নেমে চলে যায়। মুকুলের সাথে থাকা যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাসুটিয়া এলাকা থেকে মুকুলকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুকুলের সহযাত্রী রাজমিস্ত্রী গাইবান্ধার আর্দশ গ্রামের ওমর ফারুক (১৯) জানান, তিন মাস আগে মুকুল কন্যা সন্তানের পিতা হন। কন্যা সন্তান হওয়ার ১৫ দিন পর তিনি সাতখামাইর এলাকায় কাজে আসেন। আড়াই মাস ধরে টাকা জমিয়ে শিশু সন্তানের জন্য কাপড় চোপড় ও পরিবারের জন্য টাকা-পয়সা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি।
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নেয়ার জন্য জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দিচ্ছি।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..