পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকার আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর পরিকল্পিত ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’ অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করেছে। তিনি আজ তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিজয়ের মাসে আমরা সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরষ্কার’ ঘোষণা ও ভূষিত করা হবে।
তিনি বলেন, ভারতে গান্ধী শান্তি পুরষ্কার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যান্ডেলা পুরষ্কারের মতো অনেক দেশ তাদের জাতির পিতার নামে এই জাতীয় পুরষ্কার প্রদান করে থাকে।
মোমেন বলেন, সম্মেলনে ঢাকা কোন রাষ্ট্র বা সরকারকে প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা না করে, বরং শান্তি ও সহনশীলতার সংস্কৃতি প্রচারের জন্য বিশ্বখ্যাত শান্তিকর্মী, লেখক, কবি, গায়ক এবং বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের ব্যক্তিত্বদের সমাবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে শান্তি সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জাতীয় কমিটির আজ প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরষ্কার দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সময় বঙ্গবন্ধুর উপর একটি বিশেষ আলোচনা হবে। কারণ, জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশ এখন শান্তির জন্য একটি আদর্শ দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এটাই ‘শান্তির সংস্কৃতি’।