মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের একটি প্ল্যাটফরমে সংগঠিত করার লক্ষ্যে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম নেতৃবৃন্দের এক যৌথ সভায় এই পরিষদ গঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, এমপি।
সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন, শাহ মো. সাইফুল আলম লিটন, ড. মোসা: তাহমিনা, হুমায়ুন কবির, মো. সাজ্জাদ হোসেন, আতিকুর রহমান বাবু, জোবায়দা হক অজন্তা, মেহেদী হাচান, সালমান মাহমুদ, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীন, মনির হোসেন মোল্লা, কামরুজ্জামান সাগর, আল-আমিন মৃদুল, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আল মামুন, মাহবুবুর রহমান প্রিন্সসহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মভিত্তিক সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস, পুলিশ, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণকে হত্যা করছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্হপনা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মেট্রোরেল, পুলিশ বক্স, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও আওয়ামী লীগ অফিস ধ্বংস করছে। সভায় এসব নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও ফেসবুকের মাধ্যমে যে ভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে, তাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। সভায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়।
সভায় সন্তানদের অভিভাবক হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে আহ্বায়ক করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, এমপিকে এবং প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপিকে।