×
ব্রেকিং নিউজ :
ফ্রেমে ফ্রেমে অপরূপ পঞ্চগড় নীলফামারীতে হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা টাঙ্গাইলে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের মধ্যে অর্থ সহায়তা বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু নীতিনির্ধারণে নমনীয়তা ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ যুক্তিবোধে উজ্জীবিত তরুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিবে আগামীর বাংলাদেশ : চসিক মেয়র গণভোট ও ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা : আসিফ নজরুল দেশের পুষ্টি ও অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অপরিসীম : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি : সচিব শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি, প্রজনন স্বাস্থ্য ও আত্মসচেতনতা সম্পর্কে শেখানো জরুরি : পরিবেশ উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-০২
  • ৪৩৫৪৪৫৩৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষবার নাটালিয়া তার প্রতিবেশী অ্যালিওনা লেসনিচেঙ্কোকে দুই সন্তানকে জন্য খাবার কিনতে দেখেছিলেন।

অ্যালিওনা সম্পর্কে নাটালিয়া বলেন, ‘তারা (সন্তানরা) যা চেয়েছিল, মা (অ্যালিওনা) তা প্রায় সবই কিনেছিলেন। মিষ্টি, লেবুর শরবত, পাই, সসেজ, পনির, সবকিছুই।’

তিনি আরও জানান, অ্যালিওনা চাইতেন তার সন্তানদের কোনো ক্ষতি না হোক। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার ড্রোন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আর কেউ বাঁচাতে পারল না।

এএফপি’র তথ্য অনুযায়ি, ওই হামলায় ইউক্রেনের চেরনেচচিনা গ্রামের ২৬ বছর বয়সী অ্যালিওনা লেসনিচেঙ্কো, তার স্বামী এবং চার ও ছয় বছর বয়সী দুই ছেলে নিহত হন।

প্রতিবেশী নাটালিয়া বলেন, অ্যালিওনা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি যমজ সন্তানের মা হতে যাচ্ছিলেন।

বুধবার চেরনেচচিনায় পরিবারটির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় স্থানীয়রা শোক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। আলিনা লাগোয়াদা নামে এক আত্মীয় বলেন, ‘পুরো যুদ্ধে এখানে কোনো হামলা হয়নি। এটা কেন করা হলো?’

প্রতিবেশী লুবভ পানচেনকো এএফপিকে জানান, অ্যালিওনার স্বামী ওলেকজান্ডার একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি সামনের সারিতে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘সে (ওলেকজান্ডার) লড়াই করে ফিরেছিল। তারপরই এরকম ঘটনা ঘটল।’

শোকয়াত্রা দেখতে কয়েকশ’ স্থানীয় বাসিন্দা রাস্তার ধারে জড়ো হন। তাদের মধ্যে অনেকে ফুল ছিটিয়ে দেন। আবার কেউ কেউ নীল ও হলুদ রঙের ফুলের তোড়া বহন করেছিলেন, যা ইউক্রেনের পতাকার রঙকে নির্দেশ করে।

স্থানীয় কাউন্সিলর ওকসানা চেরনোভা বলেন, ‘এই পরিবারটির সবাই সব সময় একসঙ্গে থাকতেন।’ তিনি আরও বলেন, ড্রোনটি আঘাত হানার সময় বাচ্চারা হয়ত উঠে দাঁড়ানোর সুযোগও পায়নি।

নাটালিয়া জানান, অ্যালিওনার ছেলেরা অনেক শান্ত ছিল এবং তারা তাকে ‘নানী’ বলে ডাকত। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘তারা ভালো মানুষ ছিল। কিন্তু তারপরও তাদের এভাবে মৃত্যু হল।’

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে রাশিয়া প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮৮টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি।

মস্কোতে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিন দিনের সাময়িক ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেন। এটি শেষ হওয়ার পর গত ১০ মে থেকে প্রতিদিনই ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে।

কিয়েভ বলছে, এসব হামলা সাধারণত ইরানি নকশায় তৈরি সস্তা ‘শাহেদ’ ড্রোন দিয়ে করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করা।

বিমান বাহিনী দাবি করছে, তারা বেশিরভাগ ড্রোনই গুলি করে ভূপাতিত করেছে। কিন্তু হামলার মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষ প্রাণহানির মুখোমুখি হচ্ছে। এ কারণে চেরনেচচিনা মতো গ্রামীণ এলাকার মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat