- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-৩০
- ১১১৫ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে চু্ক্তি হয়েছে, সেটা বাস্তবায়নে কাজ করবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিয়ানমার যাওয়ার প্রক্কালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল এসব কথা বলেন।
এর আগে শনিবার কুয়েত থেকে সরাসরি কক্সবাজার পৌছায় নিরাপত্তা পরিষরেদর দলটি। পরদিন রবিবার মিয়ানমার সীমান্তের কোনারপাড়ায় এবং দুপুরে কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন তারা। পরে এদিন রাতে ঢাকায় ফিরেন ৩০ সদস্যের এ প্রতিনিধ দল।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গুরত্বের সঙ্গে কাজ করে যাবে উল্লেখ করে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক বড় মানবিক কাজ করেছে। রোহিঙ্গারা যেন তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারে সে জন্য আমরা এ সঙ্কট উত্তরণে কাজ করে যাব।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাশিয়া ও চীনের অবস্থান নিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, ‘রাশিয়া ও চীন এই সমস্যা সমাধানের পথে বাধা দিচ্ছে না। রাশিয়া এবং চীনও চায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হোক। তবে এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া।’
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স বলেন, ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহযোগিতা করা যায়, সেটি বুঝতে এ সফরে এসেছি। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আমরা সহযোগিতা করে যাব।’
কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি মনসুর আয়াদ আল-ওতাইবি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও এ দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের যে সহযোগিতা করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই সঙ্কটে বাংলাদেশের কোনো হাত নেই।’
প্রতিনিধি দলের পাঁচ স্থায়ী সদস্য একমত হতে না পারায় এখনই নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না বলেও জানান তারা।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সংবাদ ব্রিফিংয়ের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যাওয়ার আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষ করে তারা মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হন।
প্রতিনিধি দলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও চীনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে বলিভিয়া, ইকুয়েটোরায়েল গায়েনা, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, নেদারল্যান্ড, পেরু, পোল্যান্ড ও সুইডেনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আইভরি কোস্টের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধিরা ছিলেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..