স্পোর্টস ডেস্ক: – : ৫২ টেস্টে তাঁর ১২টি ডাবল সেঞ্চুরি। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরির এই রেকর্ড কোনো দিন ভাঙবে কি না, কে জানে! হয়তো ভাঙবেই না। তবে একটা জায়গায় ডন ব্র্যাডম্যানকেও পেছনে ফেলে দিলেন বিরাট কোহলি। টানা চার সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করে।
গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাড়ে সাত মাসের মধ্যে করে ফেললেন আরও তিনটি। যার সর্বশেষটি হলো আজ হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাঝখানে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। এক ভারতীয় মৌসুমে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার টেস্টের সিরিজ। সংখ্যাটা তাই আরও বাড়তে পারে। টানা পাঁচ সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেন কি না, সেটা নিয়েই এখন কৌতূহল। বাজি ধরলে হয়তো কোহলির ডাবল সেঞ্চুরির পক্ষেই ধরবে বেশির ভাগ মানুষ। ডাবল সেঞ্চুরি করাটাকে যে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
এই টেস্টের আগে টানা তিন সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিতে কোহলির মতো ব্র্যাডম্যানের অংশীদার ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ও। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে দ্রাবিড় নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ব্র্যাডম্যানের টানা তিন সিরিজে সেঞ্চুরির কীর্তি সেই ১৯৩০ ও ১৯৩১ সালে। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড সফরে এক সিরিজে ৯৭৪ রানের যে রেকর্ড গড়েছিলেন, সেটি এখনো অম্লান। ডাবল সেঞ্চুরির বন্যাও শুরু সেই সিরিজেই। লর্ডসে ২৫৪, লিডসে পরের টেস্টে ৩৩৪, ওভালে পরের টেস্টে করলেন ২৩২। পরের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২৩ রান করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের সিরিজে করলেন ২২৬।
কোহলির সর্বশেষ ডাবল সেঞ্চুরিটিতে ১৮০ রান পর্যন্ত ব্যাটিংকে খুব সহজ বলে মনে করিয়েছেন। ১৮০ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আম্পায়ার তাঁকে এলবিডব্লু বলে রায় দিয়ে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন। কোহলি বেঁচে যান ডিআরএস নিয়ে। হক আই জানাল, অফ স্টাম্পের সামনে প্যাডে লাগ বল এতটাই টার্ন করছিল যে, সেটি লেগ স্টাম্প মিস করত। লাঞ্চের সময় ১৯১ রানে অপরাজিত কোহলি বিরতির পর ডাবল সেঞ্চুরি করতে বেশি সময় নেননি। মাত্র ২৩৯ বলে ডাবল সেঞ্চুরি, যাতে ২৪টি চার। আর ৪ রান করেই অবশ্য তাইজুলের বলে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন।
এবার আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেননি, আঙুল তুলে দিতেই হাঁটতে শুরু করেছেন ড্রেসিংরুমের দিকে। যদিও টিভি রিপ্লেতে মনে হলো, বল তাঁর প্যাডে লেগেছে অফ স্টাম্পের একটু বাইরে। ডিআরএস নিলে হয়তো বেঁচে যেতেন কোহলি।