×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৪-১২
  • ৬৯০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুনকে আলিঙ্গন করবার চারুময় চত্বরে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: – বৈশাখ শুরুর আগে থেকেই চারুকলা প্রাঙ্গণে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুনকে আলিঙ্গন করবার চারুময় চত্বরে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এবারের প্রস্তুতি অন্য যে কোনোবারের চাইতে বেশি। সে কারণও সবার জানা। ইউনেস্কো বর্ষবরণের এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। সেজন্য চারুকলা অনুষদ গত ২৮ বছরের উল্লেখযোগ্য মোটিফগুলো এবারের শোভাযাত্রায় রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নেসার হোসেন বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ায় সবার প্রত্যাশা এবার নতুন কিছু হোক। চারুকলার শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা সে চেষ্টাই করে চলেছে।বিশ্ব স্বীকৃতির কারণে এবার কবি গুরুর গানের একটি লাইনকে শোভাযাত্রার থিম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। সেটি হলো ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর…’। এ থিম দিয়ে দেশের অর্জন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি মঙ্গল শোভাযাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সবই বোঝানো হবে।নেসার হোসেন বলেন, ১৯৮৯ সালে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামরিক শাসনামলের প্রতিরূপ হিসেবে একটি কালো হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার সেটি থাকবে শোভাযাত্রার শুরুর প্রতীক হিসেবে। তেমনি, বাংলাদেশ সরকারের সমুদ্র অঞ্চল বিজয় স্মরণে শোভাযাত্রায় স্থান পাওয়া ময়ূরপঙ্খী নাওয়ের প্রতিরূপ হিসেবে থাকবে জলযান, যুদ্ধাপরাধী ছাড়াও ঘাতকরূপী জঙ্গির থাবা হিসেবে বিগত শোভাযাত্রায় স্থান পাওয়া কালো হাতের প্রতিরূপ হিসেবে একটি নেগেটিভ মোটিফও থাকবে। তিনি আরো বলেন, শোভাযাত্রার এবারের থিম ও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তৈরি করা হচ্ছে মূল মোটিফ সূর্য। সূর্যের যেমন একদিক আলো এবং অন্যদিক অন্ধকার থাকে। তেমনি আমাদের মোটিফেরও একদিকে থাকবে হাস্যোজ্জ্বল মুখ, অন্যদিকে থাকবে কুিসত কদাকার একটি রূপ। হাস্যোজ্জ্বল মুখ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে দেশের অর্জন, সমৃদ্ধি ও মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়া। আর কদাকার মুখ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে জঙ্গিবাদের আস্ফাালন। তবে অন্ধকার তাড়িয়ে যেন আলোয় ভরে ওঠে দেশ, সেটিও বোঝানো হবে এ মোটিফ দিয়ে।চারুকলা প্রাঙ্গণে প্রস্তুতিবর্ষবরণের নানামুখি তত্পরতা চারুকলা প্রাঙ্গণজুড়ে। বাঙালির প্রাণের উত্সবকে বরণ করতে তৈরি হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার নানা মোটিফ, তৈরি হচ্ছে রং-বেরঙের মুখোশ। তাতে লাগছে শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়। বিপুল উত্সাহ নিয়ে শোভাযাত্রার কাজ করছেন চারুকলার ১৮তম ও ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। জয়নুল গ্যালারির সামনে, অনুষদের খোলা প্রান্তরে সর্বত্রই তারা তৈরি করছেন বৃহত্ আকারের নানা মুখোশ, মোটিফ ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ হিমেল বলেন, অন্ধকারের বিরুদ্ধে এবার থাকছে নানা শৈল্পিক প্রতিবাদ। শোভাযাত্রায় সূর্যের মুখের কাঠামো ছাড়াও থাকবে হাতি, ঘোড়া, শখের হাড়ি, টেপা পুতুল ইত্যাদি।প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার খরচ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিজেদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে সংগ্রহ করছেন। আর সে পর্বের সূচনা হয়েছে অধ্যাপক রফিকুন নবী’র ছবি দিয়ে। এছাড়া অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্্ আলভী, শিশির ভট্টাচার্যসহ অনেক বড়মাপের শিল্পীরা তাদের ছবি দিয়েছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সরাচিত্র এঁকে ও বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করছেন। একদিকে শিল্পকর্ম যেমন বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিক্রিলব্ধ অর্থ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার নানা অনুষঙ্গ।টেবিলের উপর ছড়িয়ে রয়েছে রং আর কাগজ। মুখোশ, পুতুল, মাটির সরা, মাটির ব্যাংক, টেপাপুতুল, পাখি, হাতপাখাসহ নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার তহবিল গঠনে বিক্রি করার জন্য শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে পাখির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, সরার দাম ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, জল রঙে আঁকা বিভিন্ন চিত্রকর্মের দাম ধরা হয়েছে ২,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা এবং বিভিন্ন মুখোশের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া হাতপাখা, বিভিন্ন শো-পিসও বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যার দাম ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat